Kolkata Bus Service: জ্বালানির দাম বাড়লেও বাড়েনি বাস ভাড়া, বন্ধের মুখে কলকাতা, শহরতলির অনেক রুটের পরিষেবা
বাস মালিক সংগঠনের দাবি, লোকসানের মধ্যেই বাস চালাতে হচ্ছে, তাই বাস তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন...
সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: সাত সকালে অফিস যাওয়ার তাড়া। কিন্তু স্ট্যান্ডে বাসের দেখা নেই। অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত যাত্রীরা। এই দৃশ্য শুধু কলকাতা নয়, জেলার একাধিক বাস স্টপের। যাত্রীদের অভিযোগ, অফিস আওয়ারে বড় ভোগান্তি হচ্ছে। বাসের জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হচ্ছে।
বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, জ্বালানি খরচ বাড়লেও ভাড়া (Bus Fare) বাড়েনি। লোকসানের জেরে বাস (Bus Routes) তুলে নিচ্ছেন মালিকরা। করোনাকালে (Covid-19 pandemic), অনেক বাসেই বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে সরকার স্পষ্ট করে দেয়, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতিতে অনেক রুটে বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চালকরা বাস চালাতে ভয় পাচ্ছে। পুলিশ ধরছে। এরকম ভাবে চলতে পারে না। বাস মালিক সংগঠন সূত্রে দাবি, করোনার আগে, রাজ্যে ৪০ থেকে ৪২ হাজার বাস চলত। এরমধ্যে, কলকাতায় চলত ৭ হাজার। আনলক পর্বে বাস চলছে ১৫ হাজার।
কোন কোন রুট ক্ষতিগ্রস্ত? (Which Kolkata bus routes have been affected?)
এরমধ্যে কলকাতায় চলছে দেড় থেকে ২ হাজার বাস। বন্ধ হয়ে গেছে উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপা থেকে বারাসাত, চাকলা - বারাসাত, বারাসাত- ঘটকপুকুর DN 16, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বড়কাছারি থেকে যাদবপুর SD 8, শিরাকোল থেকে মুকুন্দপুর SD 16 রুটের বাস।
এছাড়া, হুগলি ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে বন্ধ হয়ে গেছে পরিষেবা। আংশিক বন্ধ হয়েছে আমতলা থেকে সল্টলেক ২৩৫ নম্বর রুট, চেতলা-হাওড়া ১৭ নম্বর রুট, ফলতা-বাবুঘাট ৮৩ নম্বর রুট ও বজবজ - বাবুঘাট ৭৫ নম্বর রুটের বাস।
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট সূত্রে খবর, এয়ার পোর্ট - ধর্মতলা রুটে করোনার আগে তাদের ৭০টি বাস চলত। এখন সেই সংখ্যা ৩০। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক সুরজিত্ সাহা বলেন, শেষ অংশে মূল পয়েন্ট। ভয় পাচ্ছি। আতঙ্ক রয়েছে। এভাবে কো সব বাস তুলে নেবে।
এছাড়া হাওড়া লেকটাউন, লাউহাটি - শ্যামবাজার, পাটুলি- এয়ারপোর্ট রুটে হাতে গোণা বাস চলছে। অর্ধেকের কম সংখ্যক বাস চলছে রায়গঞ্জ, মালদা, কোচবিহার, দুই মেদিনীপুরে বহু রুটে। চৌরাস্তা থেকে ঘটকপুকুর মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ। সখের বাজার, জোকা, সারদা পার্ক এই সব রুটে মিনিবাসের সংখ্যা কমেছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ।