Kolkata LPG Price Hike: কলকাতায় ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৫ টাকা
কলকাতায় এর ফলে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ৮৮৬ টাকা
কলকাতা: ফের রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল। আজ কলকাতায় ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৫ টাকা। কলকাতায় এর ফলে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম দাঁড়াল ৮৮৬ টাকা।
একেই করোনা পরিস্থিতিতে বহু মানুষের রোজগার কমেছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এই সময় রান্নার গ্যাসের একলাফে ২৫ টাকা দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত।
মাত্র ৬ মাসেই ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ১৪১ টাকা। এক বছরে বেড়েছে ২৪১ টাকা। এভাবে গ্যাসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকলে, রান্না হবে কি সে, তা নিয়েই ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছে না মধ্যবিত্ত।
গত ৬ মাসে হু হু করে দামবৃদ্ধি প্রায় সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। কেউ কেউ খরচ বাঁচাতে গ্যাস ছেড়ে ইনডাকশনে রান্না করছেন। সে উপায় কার্যত না থাকায় হোটেল মালিকরা পড়েছেন সমস্যায়।
হু হু করে দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে অনেকেরই আশঙ্কা, পুজোর সময় না চার অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে গ্যাসের দাম। অথচ সাত বছর আগে এই জুলাইয়ে গ্যাসের দাম ছিল অর্ধেকেরও কম।
গৃহস্থ গ্যাসের বদলে বিকল্প রাস্তা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু রাস্তার ধারের হোটেল? যেখানে তো চটজলদি রান্না করে গরম গরম খাবার পরিবেশন করতে হয়। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম মাত্র সাত মাসে বেড়েছে ২৫৭ টাকা।
খাবারের দাম বাড়ালে খদ্দের হবে না। আবার মানও রাখতে হবে। ব্যবসা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন রাস্তের ধারের হোটেল মালিকরা।
পেট্রোপণ্য থেকে রান্নার গ্যাস, দাম বাড়ছে। জ্বালা বাড়ছে মধ্যবিত্তের। অন্যদিকে ফুলে ফেপে উঠছে সরকারের কোষাগার। চলতি বছরের মার্চ মাসে তৎকালীন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পেট্রোপণ্য এবং এলপিজির উপর উৎপাদন শুল্ক থেকে গত ৯ মাসে ৩ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে কেন্দ্রের কোষাগারে।
সরকার এ নিয়ে কোনও সুরাহা দিতে না পারলেও, সম্প্রতি উজ্জ্বলা যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে ভোট। আর তাই যোগীরাজ্য থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের উন্নত জীবনের স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সমস্ত বাড়ি বাড়ি থাকবে এলপিজি স্টোভ। পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড লাগবে না। সেল্ফ ডিক্লারেশন দিলেই হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রথম বার উজ্জ্বলা যোজনা শুরু করা হয়। সে বার দরিদ্রসীমার নীচে থাকা পাঁচ কোটি মহিলাকে এই যোজনার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল।