নাকের স্প্রে দিয়ে করোনা নির্মূলের চেষ্টা, পিয়ারলেস হাসপাতালে শুরু তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা
তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য দেশে ১০টি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব ভারতে একমাত্র পিয়ারলেস হাসপাতালে চলবে এই ট্রায়াল।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: নাকে ওষুধ স্প্রে করে করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করার চেষ্টা। পিয়ারলেস হাসপাতাল সহ দেশের ১০টি কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। চিকিত্সকদের আশা,পরীক্ষা সফল হলে করোনা চিকিত্সার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। এবার নাকের স্প্রে-র সাহায্যে করোনা মোকাবিলার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে দেশে।
এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য দেশে ১০টি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব ভারতে একমাত্র পিয়ারলেস হাসপাতালে চলবে এই ট্রায়াল। পিয়ারলেস হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিভিন্ন চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় নাইট্রিক অক্সাইড। কিন্তু কোভিড আক্রান্তদের চিকিত্সায় এই ওষুধ আগে ব্যবহার করা হয়নি। ট্রায়ালে মৃদু কোভিড উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের নাকে নাইট্রিক অক্সাইড স্প্রে করা হবে। পরীক্ষা সফল হলে কোভিড রোগীদের চিকিত্সার খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পিয়ারলেস হাসপাতালে মৃদু করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের দুটি দলে ভাগ করে এই ট্রায়াল চালানো হবে বলে সূত্রের খবর। পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসক অজয় সরকার বলেন, মৃদু কোভিড আক্রান্তদের ২টি দলের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। একদলকে কোভিডের গতানুগতিক চিকিত্সা করা হবে। আরেক দলকে গতানুগতিক চিকিত্সার পাশাপাশি এই নাইট্রিক অক্সাইড নাসিকা গহ্বরে স্প্রে করে দেওয়া হবে। তারপর দেখা হবে ফলাফল। ফলাফল ইতিবাচক হলে চিকিত্সার খরচ অনেক কমে যাবে।
আরও পড়ুন, রাজ্যে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের উৎসস্থল হতে পারে উত্তরবঙ্গ, মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের
তবে পরীক্ষার ফলাফল না দেখে এখনই যাতে যথেচ্ছ করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সায় নাইট্রিক অক্সাইড ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট, সৌগত ঘোষ বলেন, নাইট্রিক অক্সাইডের জীবাণুনাশক গুণ আছে। তবে এখনই উত্সাহিত হয়ে যেন কেউ ওষুধ ব্যবহার শুরু না করে।
সূত্রের দাবি, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনার মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের নাক দিয়ে ওষুধ স্প্রে করার তিনদিনের মধ্যে ভাইরাল লোড ৯৯ শতাংশ কমেছে। যেহেতু করোনা ভাইরাস প্রাথমিক অবস্থায় নাকে বাসা বাঁধে ও বংশবিস্তার করে, তাই নাকে ওষুধ স্প্রে করে একে নির্মূল করার চেষ্টা চলছে।