Kolkata Poppy Seeds Price: দু’হাজার টাকা পেরিয়ে গেল পোস্তর কেজি, দায়ী কেন্দ্রের নীতি, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
পোস্ত বাটা, পোস্ত বড়া, আলু পোস্ত খেয়ে যাঁরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন, দামের জ্বালায় মন ভাল নেই সেই সব খাদ্যরসিকদের।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সেঞ্চুরি পার করেছে পেট্রোল। তিন-অঙ্কের ঘরের দিকে এগোচ্ছে ডিজেল। রান্নার গ্যাসের দামেও আগুন। ভোজ্য তেলও দুশো ছুঁয়েছে।
এবার খুচরো বাজারে দু’হাজার টাকা পেরিয়ে গেল পোস্তর কেজি। তিন মাসে পোস্তর দাম অনেকটাই বেড়েছে। দামের ছ্যাঁকায় পোস্ত কেনা ভুলতে বসেছেন খাদ্যরসিকরা। আগুনে দামের জন্য কেন্দ্রের নীতিকে দায়ী করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
পোস্ত বাটা, পোস্ত বড়া, আলু পোস্ত খেয়ে যাঁরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেন, দামের জ্বালায় মন ভাল নেই সেই সব খাদ্যরসিকদের। কারণ, খুচরো বাজারে পোস্তর কেজি ২ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। অথচ মাস তিনেক আগে তা ছিল ১৪০০ টাকা।
পেট্রোল, ডিজেলের দামের ছ্যাঁকায় নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। ভোজ্য তেলের দামও ক্রমশ চড়ছে। কিন্তু পোস্তর দামের রকেট গতির কাছে সবকিছু পিছিয়ে পড়েছে। পোস্ত পাতে রাখা এখন বিলাসিতার সামিল।
এমনই এক ক্রেতা বললেন, পোস্ত কবে খেয়েছি ভুলেই গেছি, এত দাম বেড়েছি কিনি না। আরেকজন ক্রেতাও জানালেন, পোস্তর দাম বেড়েছে খুব। অস্বাভাবিক বেড়েছে, তাই কেনাই হয় না।
পোস্তর দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ার নেপথ্যে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের নীতির জন্য পোস্তর স্বাদ থেকে বঞ্চিত আমআদমি।
পোস্তর দামে ছ্যাঁকা লাগলেও, ভোজনরসিক বাঙালির আরেক প্রিয় পদ ইলিশ নিয়ে রয়েছে সুখবর। খুব তাড়াতাড়ি বাঙালির পাতে উঠছে চলেছে ইলিশ।
প্রায় ৬ হাজার কেজি ইলিশ নিয়ে নামখানা ঘাটে পৌঁছেছে ১০-১২টি ট্রলার। বর্ষার মরশুমে এই প্রথম এত ইলিশ আসায় খুশি আড়তদার থেকে মৎস্যজীবীরা।
বর্ষার শুরুতে ছোটখাটো ইলিশ এলেও, বাজারে দেখা মেলেনি বড় ইলিশের। তবে এবার সেই খরা কাটবে বলে আশা আড়তদার থেকে মৎস্যজীবীদের।
পোস্তা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সঞ্জয় দে বলেন, আমাদের এখানে ১০ শতাংশ চাষ হয়। বাকিটা আমদানি করতে হয়। লাইসেন্স ২ বছর ধরে বন্ধ। ইমপোর্ট করলে কেস দিয়ে দিচ্ছে। মনোপলির জন্য দাম বাড়ছে।
দামের ধাক্কায় বাজারের ফর্দ থেকে বাদ পড়েছে পোস্ত। খাওয়ার তৃপ্তিও তাই আগের মতো নেই।