জোরালো হচ্ছে তালিবান শাসন, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্যকে ফোন, আফগানিস্তানের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর
আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী তাঁর অবস্থান যাঁকে জানিয়েছেন, তিনি রবীন্দ্রভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: আফগানিস্তানের সদ্য প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর কলকাতা যোগ। কাবুলের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফোন করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। গত বছর এসেছিলেন কলকাতাতেও। কাবুল দখলের পরেই নিজের আসল রূপ ধারণ করেছে তালিবান। সময় যত এগোচ্ছে, তালিবানের অত্যাচারের মাত্রাও তত বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে তালিবানিদের হাতে নিরীহ দেশবাসীকে ফেলে পালিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। কিন্তু তাঁর আমলে যেসব মন্ত্রীরা ছিলেন, তাঁরা এখন কী অবস্থায়? কেমন আছেন? এই সব প্রশ্নগুলো যখন উঠছে, তখন সে দেশের উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর ফোন এসেছে কলকাতায়।
আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী তাঁর অবস্থান যাঁকে জানিয়েছেন, তিনি রবীন্দ্রভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানান, 'ফোন করেছিল। রবি সোম দু’দিন কথা হয়েছে। উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আবদুল তাওয়াব বালাকারজাই এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি থেকে পাস করেছেন। কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন তিনি। কান্দাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের জলসম্পদ ও পরিবেশপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিন্তু তাঁর ফোন হঠাত্ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কেন? সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা মউ স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। এই মাসেই সেটা হওয়ার ছিল সেই সূত্রেই আলাপ। ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর কলকাতায় এসে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন আফগানিস্তানের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী আরও বলেন, 'উনি কাবুলিওয়ালা পড়েছেন। খুব ভাল লেগেছে। এখানে এসে পুরো ঘুরে দেখেছেন। কোথায় জন্মগ্রহণ করেন, সেটা দেখেছেন। তাঁর নামাঙ্কিত এরকম একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। যাতে তাঁর দেশের নবীন প্রজন্ম শিল্প সংস্কৃতির আদানপ্রদান হলে সমৃদ্ধ হতে পারে।'
রবি-সোম, পরপর দু’দিন আফগানিস্তানের প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা হয় রবীন্দ্রভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের। কিন্তু, পরিস্থিতি যখন ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তখন কোথায় রয়েছেন তিনি? খোঁজ নিতে ফের যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তাঁকে পাওয়া যায়নি।