Kalyani News: বারুদের স্তূপে বসে কল্যাণী? বিস্ফোরক দাবি স্থানীয়দের, 'কোথায় ছিল পুলিশের নজরদারি?' উঠছে প্রশ্ন
গতকাল দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। কারখানার চাল উড়ে যায়।

সমীরণ পাল, কল্যাণী: নদিয়ার কল্যাণীতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে চার মহিলার। বাজি কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ বলছেন, ঘরে ঘরে বাজি তৈরি হয়। কেউ বলছেন, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে চকোলেট বোমা তৈরি হত। তাহলে কি কল্যাণীর রথতলা আদতে বারুদের স্তূপে বসে আছে? বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর এই প্রশ্নটাই এখন জোরালো হয়ে উঠেছে।
গতকাল দুপুরে কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলায় জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। কারখানার চাল উড়ে যায়। চার-চারটি ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও একজন।
তৃণমূল পরিচালিত কল্যাণী পুরসভার দাবি, বাজি বিক্রির অনুমতি ছিল। যদিও দমকল স্পষ্ট জানিয়েছে, পুরোটাই ছিল বেআইনি। বিস্ফোরণস্থল থেকে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপারের অফিসের দূরত্ব মেরেকেটে এক কিলোমিটার। প্রশ্ন উঠছে, এরকম জনবহুল জায়গায় বেআইনি বাজির কারখানা এতদিন চলছিল কীভাবে? কোথায় ছিল পুলিশের নজরদারি?
আরও পড়ুন, এবার আরও বিপাকে বাংলাদেশ? ইউনূসের দেশে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ বন্ধের নির্দেশ আমেরিকার
উল্লেখ্য, কল্যাণী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রথতলা থেকে, রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপারের অফিসের দূরত্ব মেরেকেটে এক কিলোমিটার। আর এখানেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি বাজির কারবার। তৃণমূল পরিচালিত কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান বলছেন, শুধু বাজি বিক্রির অনুমতি ছিল। অথচ মৃতের পরিবারই স্পষ্ট জানাচ্ছে, শব্দবাজি বানানো হত।
এদিকে, ২০২৩ সালে এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর, বেআইনি বাজির রমরমা রুখতে ক্লাস্টার তৈরির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বাজি ব্যবসায়ী, বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। সেখানে ঠিক হয়েছিল, জেলায় জেলায় সবুজ বাজি তৈরির ক্লাস্টার তৈরি হবে। সেই নির্দিষ্ট ক্লাস্টারে এসে বাজি তৈরি করবেন শ্রমিকরা। যাতে নজরদারি চালানো যায়, তার জন্য জন্য নির্দিষ্ট গোডাউন থাকবে।
ব্যবসায়ীদের একাংশ এও দাবি করেন, বাজি তৈরির ক্ষেত্রে কী কী সুরক্ষা নিতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল বৈঠকে। বলা হয়- বাজি তৈরির কারখানা জনবসতি থেকে ৪৫ মিটার দূরে হতে হবে। সেখানে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে না। বাজি তৈরির কাজ হবে দিনের বেলায়। কিন্তু সেইসব নিয়ম কি শুধু বৈঠকের মিনিটসেই সীমাবদ্ধ থেকে গেছে? দু বছর হতে চলল, কিন্তু এখনও বাজির ক্লাস্টার নিয়ে সেইসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। কল্যাণীর ঘটনার পর এ নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
