Mamata Banerjee Wins: ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয়োল্লাসের সময় বিপত্তি, আহত মদন মিত্র
Mamata Banerjee Wins: ভোটের ট্রেন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই, সকালে কালীঘাটে শুরু হয়ে যায় আবীর খেলা। নাচে...গানে...খেলা হবে স্লোগান চারিদিকে। এমনই ছিল পরিবেশ।
কলকাতা: রেকর্ড মার্জিনে জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এরপরই ভবানীপুরে বিজয়োল্লাস করতে গিয়ে বিপত্তি! শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাঙ্কোয়েটে রংমশাল ফেটে বিপত্তি! সামান্য জখম হন মদন মিত্র! ধোঁয়ায় অসুস্থ হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও।
ভোটের ট্রেন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই, সকালে কালীঘাটে শুরু হয়ে যায় আবীর খেলা। নাচে...গানে...খেলা হবে স্লোগান চারিদিকে। এমনই ছিল পরিবেশ। শাঁখ বাজিয়ে, জয়ের সেলিব্রেশন করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। যদুবাবুর বাজারে দলীয় কর্মীদের নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন মদন মিত্র! তৃণমূল নেতা ও কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, 'ভবানীপুর টু কামারহাটি, ওয়েস্টবেঙ্গল টু দেশের মাটি, লক্ষ এবার দিল্লির মাটি। মমতা যাবে, মোদির নাক কেটে দিয়ে যাবে।'
ভোটের ফল ঘোষণার দিনই, নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে, কোনও রকম বিজয়োল্লাস, বিজয় মিছিল করা যাবে না। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের তরফেও, রাস্তায় নেমে সেলিব্রেশন করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিষেধ করা হয়। এরপরই, ভবানীপুরের কলকাতার পাশাপাশি, জেলাতেও হয় বিজয় উল্লাস! বাজি ফাটিয়ে, জয় উদযাপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। আর, ঠিক সে’সময়ই শুনশান বিজেপির মুরলীধর সেন লেন ও হেস্টিংসের পার্টি অফিস! দেখা নেই নেতা-কর্মীদের।
এদিকে জয়ের পর বিরোধী শিবিরকে একহাত নিতে ছাড়েননি তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, ''সারা বাংলা আজ ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাংলা আঘাত পেয়েছিল, একটা আসনে আমরা হেরেছিলাম বলে। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল, কোর্টে মামলা চলছে। সেই চক্রান্তের জবাব দিয়েছেন ভবানীপুরের মানুষ।'' তিনি আরও বলেন, "জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও আমরা বিপুল ভোটে জিতছি। এক, দুই, তিন, মানুষকে ধন্যবাদ দিন।" এর পাশাপাশি ৪টি উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন তিনি । জানান, শান্তিপুরে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। উদয়ন গুহ লড়বেন দিনহাটা থেকে। খড়দা থেকে লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।