Nabanna Abhiyan:শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের ‘নবান্ন চলো’ ঘিরে উত্তেজনা, লাঠিচার্জ পুলিশের
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ ও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের নবান্ন চলো অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের ডাকে শিয়ালদহ থেকে শুরু হয় মিছিল। শুরু থেকেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে আন্দোলনকারীদেরও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
সুদীপ্ত আচার্য,কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ ও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের নবান্ন চলো অভিযান। পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের ডাকে শিয়ালদহ থেকে শুরু হয় মিছিল। শুরু থেকেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে আন্দোলনকারীদেরও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেট হয়েছে ২০১৫-য়। কিন্তু তার নিয়োগ এখনও হয়নি! এবার আপডেটেড ভ্যাকেন্সি বা চূড়ান্ত শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ এবং মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতায়।
প্রথমে বচসা, পরে টেট পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের ওপর লাঠি চালাল পুলিশ।
আন্দোলনকারী এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘‘আমরা সাত বছর ধরে অপেক্ষা করছি.....আর কতদিন?’’ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট হয় ২০১৫ সালের অগাস্টে। ফল বেরোয় ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে। প্রার্থীদের ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউয়ের পর মেরিট লিস্ট প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। কিন্তু এরপরেই মেরিট লিস্টে দুর্নীতি, অনৈতিকভাবে টেটের নম্বর বাড়ানো-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানির পর ২০২০ সালে মেরিট লিস্ট বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নতুন করে ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ করে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয় আদালত।
৪ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই অনলাইন ভেরিফিকেশন বা নথি যাচাই হয়েছে। কিন্তু তারপর এখনও ইন্টারভিউ শুরুর কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, মাঝের এই সাত বছরে সেই শূন্যপদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২৪ হাজার হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ সেইসব শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি নেয় পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্যরা। কিন্তু শিয়ালদা কোর্টের সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এরপর দুপুর ১টা ৫০ নাগাদ আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে গেলে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। দুপুর আড়াইটে নাগাদ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।