Narada Case তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে, নিজাম প্যালেসে পৌঁছে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, তাঁকে গ্রেফতার না করলে তিনি বেরোবেন না...
কলকাতা: নারদ-মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা-মন্ত্রীকে সিবিআই গ্রেফতার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সকালে তৃণমূলের তিন বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে আসে সিবিআই। সেখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই তিনজনের মধ্যে ২ জন আবার রাজ্যের মন্ত্রীও বটে।
এই ঘটনার কিছুক্ষণপরই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, তিনি সিবিআই আধিকারিককে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনজনকে গ্রেফতার করলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।
জানা গিয়েছে, নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রীকে রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের। ফলে, তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।
সিবিআই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, তাঁকে গ্রেফতার না করলে তিনি বেরোবেন না।
সোমবার সকালে তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রী ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয় চার নেতা-মন্ত্রীকে।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালের কাছ থেকে অনুমতি মেলার পর নারদকাণ্ডে চার অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই।
এই চারজনের পাশাপাশি, নারদকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। খবর সূত্রের।
এই গ্রেফতারি প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিধায়ককে গ্রেফতার করতে হলে, বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। চার্জশিট পেশে রাজ্যপালের অনুমোদন বেআইনি।
যদিও, সিবিআই-এর দাবি, তারা আইন অনুযায়ী কাজ করেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আইনে একটা সংস্থান রয়েছে যে, রাজ্যপালের কাছ থেকেও অনুমতি নেওয়া যেতে পারে। ফলে, আইনের পরিধির মধ্যে থেকেই কাজ করেছে সিবিআই বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
অন্যদিকে, নারদ-মামলায় একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের মতে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলেই সিবিআই তাঁদের ছাড় দিয়েছে।