'তৃণমূলে হিরো বলতে একপিসই আছে', বিধানসভা চত্বরে মদনকে বললেন দিলীপ
বিধানসভার করিডরে দুই রসিকের মুখোমুখি হতেই জমে উঠল মজার আড্ডা...
দীপক ঘোষ, কলকাতা: হতে পারে তাঁরা দুই ভিন্ন মেরুর, কিন্তু দুজনই মজার মানুষ। রসিকতায় কেউ কারও থেকে কম যান না।
সেই দুই রসিকের দেখা হয়ে গেল বিধানসভার করিডরে এবং মুখোমুখি হতেই দুজনের জমে উঠল মজার আড্ডা। একজন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অপরজন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
দিলীপ ঘোষ আজ এসেছিলেন বিধানসভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে। বিধানসভার ভেতরে শ্যামাপ্রসাদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করার পর দলের অন্যান্য বিধায়কের সঙ্গে খোশগল্প করছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
হটাৎ 'গদাই লস্করি' চালে সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় মদন মিত্রকে। তাঁকে দেখতে পেয়েই হাত নেড়ে দাঁড় করান দিলীপ ঘোষ। উজ্জ্বল সোনালী কাজ করা কুচকুচে কালো পাঞ্জাবি গায়ে মদন মিত্র হেসে দাঁড়িয়ে পড়েন।
কৌতূহলী চোখে দিলীপ ঘোষের জিজ্ঞাসা, 'এরকম পাঞ্জাবি ক'পিস আছে আপনার? খাসা পাঞ্জাবি পরেছেন একখানা।' মদন মিত্র হেসে উত্তর দেন, 'একপিসই আছে।'
হাসতে হাসতে মদন মিত্র যোগ করেন, "দুপুরে একটু বেরিয়েই ভিজে জবজবে হয়ে গেলাম বলে পোশাকটা পাল্টে এলাম। এরকম পাঞ্জাবি এই একটাই আছে আমার।"
পাল্টা হেসে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আপনার দলে তো হিরো বলতেও তো একপিসই আছে, সেটা মদন মিত্র।" দিলীপ ঘোষের কথা শুনে হাসতে থাকেন মদন।
তারপর আবার গদাই লস্করি চালে হেঁটে চলে যান অধিবেশন কক্ষের দিকে। দিলীপবাবুর সঙ্গে কী কথা হলো, জানতে চাইলে মদন মিত্রের জবাব, "ওই পাঞ্জাবিটা নিয়ে বলছিলেন। বললেন, আপনিই আপনার দলের একমাত্র হিরো। আসলে আমার সঙ্গে সকলেরই ভাল সম্পর্ক।"
দিলীপ ঘোষকেও জিজ্ঞেসা করা হলো, হটাৎ মদন মিত্রকে দাঁড় করালেন কেন? দিলীপের উত্তর, "একটু মজা করলাম দুজন, এই আর কি।"
আসলে দুই ভিন্ন দলের নেতা একসঙ্গে বসে আছেন, গল্প করছেন, হাসি-ঠাট্টা করছেন, ক্রমশ এই দৃশ্যগুলো বাংলার রাজনীতি থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে। তিক্ত রাজনৈতিক আবহে দুই দলের দুই নেতার হাসিঠাট্টা, রসিকতা আক্ষরিক অর্থেই উপভোগ্য এবং বিরল দৃশ্যও বটে।