দুয়ারে রেশন প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ডিলারদের একাংশ
গতকাল থেকে অবশ্য রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশনে’র পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে গেছে।
কলকাতা: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে এবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন ডিলারদের একাংশ। গতকাল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহা মামলকারীদের আর্জি খারিজ করে দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, আজ ডিলারদের একাংশ মামলা দায়ের অনুমতি চাইলে তা মঞ্জুর করে আদালত। তবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। গতকাল থেকে অবশ্য রাজ্যে ‘দুয়ারে রেশনে’র পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে গেছে।
গতকালই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে সিলমোহর দেয় হাইকোর্ট। বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে রেশন ডিলারদের একাংশের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর কাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় ‘দুয়ারে রেশনে’র পাইলট প্রজেক্ট।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের! চালু করা যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগেও দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন রেশন ডিলার। তাঁদের আবেদন বুধবার, খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বুধবার থেকেই শুরু হল দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এর জন্য, ১৫ শতাংশ রেশন দোকান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশনের সামগ্রী।
‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন রেশন ডিলারদের একাংশ। ‘এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া আইনবিরুদ্ধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রেশন ডিলারদের নেই’, দাবি করেন মামলাকারীরা।
‘বাড়ি গিয়ে রেশন দিতে খরচ বহন করতে হবে ডিলারদের। গাড়ির খরচ, প্রচারের খরচ এবং সংরক্ষণের খরচ বহন করতে হবে,’ জানায় রাজ্য সরকার। পাল্টা রেশন ডিলারদের দাবি, ‘এই বিপুল খরচ তাঁরা বহন করতে পারবেন না। দিল্লিতেও এই ধরনের প্রকল্প আনার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি।’
‘প্রাপকের সুবিধার্থে তাঁরা আইন সংস্কার করতে পারেন। এতে ডিলারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় না। রাজ্যের নির্দেশ মেনে চলতে রেশন ডিলাররা বাধ্য। পরিবহণ এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে সাহায্য করছে রাজ্যের। এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প, শুধু সেপ্টেম্বর মাসের জন্য,’ পাল্টা দাবি করে রাজ্য।