Patuli Death: রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া, পাটুলিতে যুবকের মৃতদেহ আগলে পরিবার
শুক্রবার বিকালে পাটুলি থানা এলাকার অশোক রো এলাকার বাসিন্দারা একটি বাড়ির পাশ থেকে তীব্র গন্ধ পান। বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করার পর স্থানীয়দের সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই খবর গিয়ে পৌঁছে পাটুলি থানায়।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ফের শহরে রবিনসন স্ট্রিট কান্ডের ছায়া। এবার পাটুলিতে মৃত ছেলের দেহ আগলে থাকলেন পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার বিকালে পাটুলি থানা এলাকার অশোক রো এলাকার বাসিন্দারা একটি বাড়ির পাশ থেকে তীব্র গন্ধ পান। বাড়ির সদস্যদের ডাকাডাকি করার পর স্থানীয়দের সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই খবর গিয়ে পৌঁছে পাটুলি থানায়।
পুলিশকর্মীরা বাড়ির ভেতর পৌঁছতেই দেখতে পান এক যুবকের দেহ পড়ে রয়েছে। আর পাশে রয়েছে বাবা-মা ও বোন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ,ওই বাড়ি ছেলে প্রিয়ঙ্কর রায় (৩৫) মৃত অবস্থায় বাড়ির একতলায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন,আর তারই আশপাশে রয়েছেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বাবা ও মা পুলিশকে জানান তার ছেলে অসুস্থ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু ছেলে যে মৃত তা মানতেই চাইছেন না বাবা-মা। কথাতে অসংলগ্নতা দেখতে পান তদন্তকারীরা, স্বাভাবিক ব্যবহার করছিলেন না তাঁরা। বাবা- মা ছাড়াও একই বাড়িতে উপস্থিত বোনের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।
দেহ উদ্ধার করে হাসপাতলে নিয়ে যাবার পর প্রাথমিকভাবে চিকিত্সকেরা পুলিশকে জানান অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৫ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে প্রিয়ঙ্করের। মৃতদেহ শনিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারবেন কীভাবে মৃত্যু ও কতদিনই বা মৃতদেহ আগলে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। আপাতত পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, রায় পরিবারের সদস্যরা গত বছরের নভেম্বর মাসে পাটুলি এলাকার অশোক রো বাড়িটিতে ভাড়া আসেন। সাধারণত কম কথা বলতেন, মেলামেশা প্রায় একেবারেই করতেন না প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
নিজেদেরকে প্রায় গৃহবন্দি করে রাখতেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রায় পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য আত্মীয়-পরিজনদের খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। জনবহুল এলাকার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে।