আবেদনে সাড়া, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকে রেহাই রুজিরার
আজ দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, পুজোর পর, আগামী ২৯ অক্টোবর এ নিয়ে শুনানি হবে।
কলকাতা: আপাতত আদালতে সশরীরে হাজিরা থেকে রেহাই মিলল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার। আগামীকাল তাঁকে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্টে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন রুজিরা।
আজ দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, পুজোর পর, আগামী ২৯ অক্টোবর এ নিয়ে শুনানি হবে। ইতিমধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারবেন রুজিরা। কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডির মামলার সূত্রে রুজিরাকে পাটিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়।
এর আগে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানায় কয়লাকাণ্ডে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাজিরাতে ছাড় চেয়েছিলেন রুজিরা, তাতে অনুমোদন দেয়নি আদালত। ১২ অক্টোবর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আজ ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা দেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড-আবহে ছোট বাচ্চাদের ছেড়ে আসতে পারবেন না দিল্লিতে, তাই ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা, আদালতে জানান রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির দাবি জানিয়েছেন ইডি-র আইনজীবী।
কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে ইডি-কে চিঠি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরিবর্তে কলকাতার বাড়িতে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক বলে ইডির কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বলেন, ‘বাড়িতে ২টি সন্তান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘১৮ অগাস্ট নোটিস পাঠিয়ে আমাকে ১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইডি-র কলকাতায় অফিস রয়েছে, আমিও কলকাতায় থাকি। তাই আপনারা কলকাতায় আমার বাড়িতে এলে তা সুবিধাজনক হবে।’
রুজিরা আরও লেখেন, ‘যতদূর জানি, যে মামলায় তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে, তারও সূত্রপাত পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। এই অনুরোধ বিবেচনা করে দ্রুত জানান। আমি সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
এর আগে কয়লাকাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলার শুনানি ছিল। আর এদিন সেই সমন খারিজ মামলাতেই ওঠে নারদকাণ্ডে কলকাতায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ। গ্রেফতারের পর CBI অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছে যাওয়ার প্রসঙ্গও টেনে আনেন সলিসিটার জেনারেল।