E-Nuggets App: সল্টলেকে অফিস খুলে ‘প্রতারণা’; ই-নাগেটস অ্যাপ ‘প্রতারণা’ মামলায় কলকাতা পুলিশের তল্লাশি
E-Nuggets App: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। ই-নাগেটস অ্যাপ ‘প্রতারণা’ মামলায় কলকাতা পুলিশের তল্লাশি।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বিদেশে সার্ভার, সল্টলেকে অফিস খুলে ‘প্রতারণা’। অফিসে নেই একজনও কর্মী, অটোমেটিক ওটিপি (OTP) জেনারেট করে প্রতারণা। কোটি কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। ই-নাগেটস অ্যাপ ‘প্রতারণা’ মামলায় কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তল্লাশি (Raid)।
সল্টলেক (Saltlake)-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি কলকাতা পুলিশের, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪ জন। ১ হাজার ৯৫২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) খুলে টাকা ট্রান্সফার হত, এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। এদিন সেক্টর ফাইভের অফিস থেকে ১ হাজার ৯৫২টি সিম কার্ড উদ্ধার করল পুলিশ। এছাড়াও ৩ হাজারের বেশি ডেবিট কার্ড, ৪৭৩টি ব্যাঙ্কিং কিটও উদ্ধার হয়েছে।
ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণায় টাকা শুধু টাকাই উদ্ধার হয়ে চলেছে! ১০ সেপ্টেম্বর ইডির অভিযানে আমিরের বাড়ির খাটের নীচ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। গার্ডেনরিচকাণ্ডে আমির ধরা পড়ার পর আরও ১৪ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সির হদিশ পায় কলকাতা পুলিশ। আর বুধবার ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার ক্রিপ্টোকারেন্সির খোঁজ পেল ইডি।
আরও পড়ুন, স্কুলে গ্রুপ সি-গ্রুপ ডিতে ৯২৩টি পদ বাতিল, ফের নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি
এদিকে, আমিরের আমিরির আরও কত নমুনা আছে? তারই খোঁজে বুধবার আরও ৫টি জায়গায় অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশ। তার মধ্যে ই-নাগেটস্-অ্যাপের যোগসূত্রে, এদিন বিকেলে সেক্টর ফাইভে, ক্যুইক ব্লক-ই-কমার্স নামে এক সংস্থার অফিসে হানা দেয় পুলিশ। সেখানে ঢুকেই চোখ কপালে ওঠে অফিসারদের। দেখা যাচ্ছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সেগুলির সার্ভার - সব চলছে! অথচ একটিও লোক নেই!!
জানা গিয়েছে, সিম বক্সের মাধ্যমে সার্ভারের সঙ্গে কানেকটেড। যাকে বলে GSM GATEWAY। যার মাধ্যমে এক একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে এরা। সেখান থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যম দিয়েই টাকা ট্রান্সফার হচ্ছে। যাকে বলে ওটিপির মাধ্যমে অটোমেটিক প্রতারণা।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই অফিসে কাউকে না পাওয়া গেলেও, প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে জানা গেছে, বিদেশে বসে এই অফিসের সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করা হত। এদিকে, আমির-কানেকশনে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে, বিভিন্ন ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাদের জেরা করে প্রতারণা চক্রের আরও গভীরে যেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।