Jagdeep Dhankar On BSF Issue: বিএসএফের এক্তিয়ার নিয়ে রাজ্য-রাজ্য়পাল সংঘাত, মমতার বিরোধিতা করে চিঠি ধনকড়ের
জগদীপ ধনকড়ের অভিযোগ, বাংলায় বিএসএফের কাজের ধরন ও পরিধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পক্ষে বিপজ্জনক। নতুন পত্রাঘাত ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বিএসএফের (BSF) কাজের পরিধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Cm) মন্তব্যের বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন রাজ্যপাল (Governor)। জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) অভিযোগ, বাংলায় বিএসএফের (BSF) কাজের ধরন ও পরিধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান দেশের জাতীয় নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পক্ষে বিপজ্জনক। নতুন পত্রাঘাত ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল(TMC)-বিজেপি (BJP) তরজা।
কেন্দ্রের বিএসএফ (BSF) নির্দেশিকা ঘিরে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিএসএফ-এর (BSF) কাজের পরিধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) অবস্থান দেশের নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পক্ষে বিপজ্জনক। এই অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সেই চিঠি ট্যুইটও করেছেন রাজ্যপাল (Governor)। গত মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফের কাজের পরিধি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, মালদা. উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, প্রচুর বিএসএফ করে কী, ওদের ১৫ কিলোমিটার আসার কথা, সেটাও পুলিশকে জানিয়ে, কিন্তু পুলিশকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে ঢুকে যায়। পুলিশ - এখন ম্যাডাম আমরা সিস্টেম করেছি, আমাদের চিঠি লিখছেন, আমরা পারমিশন দিচ্ছি না।
মমতা - নাগাল্যান্ডে দেখেছ তো কী প্রবলেম হল। শীতলকুচিতে দেখেছো কী প্রবলেম হল। কদিন আগে কোচবিহারে তিনজন মারা গিয়েছেন গুলিতে। লোকাল পুলিশকে না জানিয়ে কোনও কনফ্রন্টেশন হোক তা আমি চাই না।
রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, আপনার মন্তব্য আইন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থী। আপনার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগজনক বার্তা দিতে পারে।
যদিও চিঠিতে ৭ ডিসেম্বরের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের স্থান হিসেবে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের উল্লেখ করেছেন রাজ্যাপাল।
BSF ইস্যুতে রাজ্যপালের ট্যুইট এবং মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি রিট্যুইট করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিও ট্যুইট করে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন, তিনি বারবার একই অপরাধ করছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিএসএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মধ্যে বিরোধ পাকাতে চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। রাজ্যপালের কাছে আর্জি, এবিষয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনকে অবহিত করুন।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও একতার স্বার্থে কাজ করে বিএসএফ। তিনিও <<(মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)>> দেশের সার্বভৌমত্ব ও একতার স্বার্থে দেশের সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারপরেও একজন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিএসএফ-কে বারবার বদনাম করছেন, তা দেখে আমি বিস্মিত! পাল্টা জবাব এসেছে শাসক শিবির থেকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল প্রচারলোভী। বিজেপির হয়ে তিনি শুধু দায়িত্ব নেন। উনি একবার গুজরাটের সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে দেখুন, ২০১২ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন, তখন বিএসএফের কাজের পরিসর নিয়ে তিনিই তো বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
কেন্দ্রীয় স্বরষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার সীমান্ত এলাকার ভিতরে ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করা হয়। গত ১৬ নভেম্বর তার বিরোধিতায়, প্রস্তাব পাস হয় রাজ্য বিধানসভায়।