Subrata Mukherjee Death news Update: নিশিপুজোর সময়েই এসেছিল দুঃসংবাদ! মাতৃসাধক সুব্রত-প্রয়াণে মন খারাপ তারাপীঠের
তখন নিশিপুজোয় ব্যস্ত সবাই। এক মুহূর্তের জন্যেও আঁচ করা যায়নি কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে দুঃসংবাদ! পুজোর মধ্যেই এল খবর, তারাপীঠ হারিয়েছে মাতৃভক্তকে। মায়ের কাছেই অনন্তলোকে যাত্রা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: শুধু বারোয়ারি দুর্গাপুজোই নয়, মাতৃসাধক ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। ২ মাস আগে শেষবার গিয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দিরে (Tarapith Temple)। তাঁর প্রয়াণে মন খারাপ সেবায়েত থেকে মন্দির কর্তৃপক্ষের।
তখন নিশিপুজোয় ব্যস্ত সবাই। এক মুহূর্তের জন্যেও আঁচ করা যায়নি কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে দুঃসংবাদ! পুজোর মধ্যেই এল খবর, তারাপীঠ হারিয়েছে মাতৃভক্তকে। মায়ের কাছেই অনন্তলোকে যাত্রা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee)।
রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সুব্রতর পরিচিতি একডালিয়া এভারগ্রিনের দুর্গাপুজোর (ekdalia Evergreen Durgapuja ) আয়োজক হিসেবে। কিন্তু শুধু উমা আরাধনাই নয়, মাতৃসাধকও ছিলেন কংগ্রেসি ঘরানার এই রাজনীতিবিদ। তাই তো মায়ের দর্শন পেতে বারবার ছুটে গিয়েছেন সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে (Tarapith)!
গত ১১ সেপ্টেম্বর তারাপীঠ মন্দিরের সামনে থামে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কনভয় (Subrata Mukherjee। গাড়ি থেকে নেমে শিলাব্রহ্মময়ী মায়ের দর্শন। তারপর ভক্তিভরে পুজোপাঠ। সেই শেষবার । আর আসবে না গাড়ি। আর আসবেন না সদা হাস্যময় মানুষটি। পড়ে আছে স্মৃতি, মন খারাপ তারাপীঠের (Tarapith)।
তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েত পরবেশ মুখোপাধ্যায় বলছেন, ১১ তারিখ আমি পুজো করিয়েছিলাম। উনি আগেও আসেছেন। উনি ফোনে খোঁজ খবর নিতেন।
রামপুরহাটের (Rampurhat) ডেপুটি স্পিকার ও বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বন্ধু। মন্ত্রিসভায় সতীর্থ ছিলেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন।
শেষবার তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে কী বলেছিলেন বহু যুদ্ধের সেনানী সুব্রত? সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, মায়ের কাছে সুযোগ পেলেই আসি। পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজো দিয়েছি।' এই মায়ের পুজোর দিনেই চিরবিদায় নিলন ছেলে। ভাইফোঁটার আগেই অনন্তলোকে যাত্রা করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।