Tortoise: বর্ষায় শহরের রাস্তায় দেখা মিলল সাড়ে বারো কেজি ওজনের কচ্ছপের!
পুলিশ কচ্ছপটি বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। কচ্ছপটি কোন প্রজাতির তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
হিন্দোল দে, কলকাতা: কয়েকদিনের অবিশ্রান্ত বর্ষণে বিপর্যস্ত কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকাই। এরইমধ্যে খাস শহর কলকাতার রাস্তায় দেখা মিলল কচ্ছপের। আর যে সে কচ্ছপ নয়, এ ছিল বিশালাকায় কচ্ছপ। চারুমার্কেট থানা এলাকার ইন্দ্রানী পার্ক এলাকার রাস্তায় এই বড়সড় কচ্ছপটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে কিছুটা অবাকই হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও লোকজন চলে আসেন।
ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারাই চারু মার্কেট থানায় যোগাযোগ করেন এবং কচ্ছপটির ঘোরাফেরা করার কথা জানান। খবর পেয়ে ইন্দ্রানী পার্কে আসে পুলিশ। কচ্ছপটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওজন যন্ত্রে তুলে দেখা যায়, কচ্ছপটির ওজন ১২ কেজি ৬০০।
পুলিশ কচ্ছপটি বন দফতরের হাতে তুলে দেয়। কচ্ছপটি কোন প্রজাতির তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। আর শহরের রাস্তায় কচ্ছপটি কোথা থেকে এল, সেই প্রশ্নও উঠেছে। বন দফতরের অনুমান, ইন্দ্রানী পার্কে একটি বড় পুকুর রয়েছে। এই পুকুরেই কচ্ছপটি হয়ত থাকত। বর্ষায় সেটি রাস্তায় উঠে এসেছে। গ্রামেগঞ্জে বর্ষায় কৈ, সিঙ্গির মতো মাছের বর্ষায় ডাঙায় উঠে আসার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু শহরের রাস্তায় কচ্ছপের ঘোরাফেরা অনেকেরই চোখ কপালে তুলেছে।
গত দুদিনের প্রবল বৃষ্টিতে শহরে দুর্ভোগের ছবিও সামনে এসেছে।খালের জল উঠে এসেছে এলাকায়। বরানগরে বাড়ির সামনের পিচের রাস্তায় জালে পড়ছে মাছ। তবে, এই সুখের সঙ্গে স্পষ্ট জল যন্ত্রণার ছবি। জালে উঠছে জ্যান্ত মাছ! লাফালাফি করছে পুঁটি, মৌরলা। শহুরে জীবনে এই দৃশ্য বিরল!
কিন্তু টানা বৃষ্টিতে, বরানগরের রাস্তায় ধরা পড়ল সেই ছবিই।প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কলেজের সামনে, লেকের জল উপচে গোটা এলাকা জল থৈ থৈ।আর তাতেই মাছ ধরায় মেতে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, এই মত্স্য সুখের সঙ্গে স্পষ্ট জল যন্ত্রণার ছবি। জলমগ্ন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। হাঁটু জল পেরিয়েই কাজের জায়গায় পৌঁছতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে নৌকা নামল শহরে। নিউটাউনে আবাসন জল থৈ থৈ... অগত্যা নৌকা নিয়ে যাতাযাতের ব্যবস্থা করলেন বাসিন্দারা।
হাওড়া পুরসভার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেলুড়ের বিধানপল্লি এলাকাতেও চলল নৌকা। যাঁদের জরুরি প্রয়োজনে বেরোতে হচ্ছে, তাঁদের জন্য স্থানীয় ক্লাবের তরফে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, এদিনও জলমগ্ন বেলুড় আন্ডারপাস। ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পেরিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।