WB Municipal Elections: পুরভোটে অশান্তির প্রতিবাদে লালবাজার অভিযান বিজেপি-র, বউবাজারে মিছিল আটকাল পুলিশ, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি
WB Municipal Elections: বিজেপি নেতাদের আটক করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পাল্টা শাসকদলের হাতে পুলিশ কাঠের পুতুল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি।
কলকাতা: বকেয়া পুরভোটে অশান্তির আঁচ এ বার কলকাতার রাস্তাতেও। পুরভোট(WB Municipal Elections) অশান্তির প্রতিবাদে লালবাজার (Lal Bazar) অভিযানে নেমেছে বিজেপি (BJP)। বইবাজার মোড়ে সেই অভিযান আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। তাকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি মধ্য কলকাতার রাস্তায়। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের। গায়ের জোরে প্রতিবাদ আটকানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপি নেতাদের আটক করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পাল্টা শাসকদলের হাতে পুলিশ কাঠের পুতুল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি।
রবিবার বকেয়া পুরভোট ঘিরে সকাল থেকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। জায়গায় জায়গায় বিরোধী শিবিরের নেতা-প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে সজল ঘোষের নেতৃত্বে দুপুরে লালবাজার অভিযানে নামে বিজেপি। পুলিশ পুলিশের কাজ করছে না বলে অভিযোগ তোলে তারা. মিছিলে ধ্বনি ওঠে, ‘এই তৃণমূল হায় হায়’। এমনকি তৃণমূল নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল হাতেও দেখা যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
কিন্তু মিছিল বউবাজারে পৌঁছতে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড়ে বিজেপি-র নেতা-কর্মীদের আটকে দেয় পুলিশ। লালবাজার অভিযানে আর এগনো যাবে না বলে জানানো হয়। তাতেই অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশের বিরুদ্ধে ধ্বনি ওঠে মিছিলে। তাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতৃত্ব।
মিছিল থেকে এবিপি আনন্দকে সজল বলেন, ‘‘দেখলেন তো আপনারা! এরা মানুষ! গণতন্ত্র লুঠ হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কিছু করতে পারছে না। আমাদের সামান্য প্রতিবাদকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’
পুরভোট চলাকালীন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ নেমে এসেছে বলে অভিযোগ করেন সজল। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় কী হচ্ছে দেখুন। পুলিশ হামলা করছে। একটি কুশপুতুল জ্বালালে মনে হচ্ছে, ওদের মায়ের ছবি জ্বালানো হচ্ছে। এখানে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। ১০৮ পুরসভায় আজ গণতন্ত্রের ১০৮ করে দিয়েছে। পুলিশ এখানে বীরত্ব দেখাচ্ছে। এ ভাবে বেশিদিন চলবে না।’’
উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকে বারাসাত, বহরমপুর, কোচবিহার, বোলপুর-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছে দফায় দফায়। কোথাও বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর মাথা ফেটেছে, কান ফেটেছে, এজেন্ট বসতে দেওয়া হয়নি, কোথাও আবার দেদার ছাপ্পাভোট পড়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। তৃণমবল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর মতে, ‘‘ভোটের নামে সন্ত্রাস চলছে।’’ অন্য দিকে বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলী ঘোষ অভিযোগ করেন যে, গুন্ডা নামিয়ে ভোট করাচ্ছে তৃণমূল।