(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
মাত্র ৫ টাকায় এত কিছু ! মা কিচেনের মিলে কী কী থাকছে, দেখে নিন চটপট
মা কিচেনে ৫ টাকায় মিলছে, ভাত, ডাল একটা তরকারি ও ডিমের ঝোল ৷ কলকাতার ১৬টি জায়গায় এবং রাজ্যের ২৭টি জায়গায় সোমবার থেকে শুরু হল ৫ টাকার ভোজ। দক্ষিণ কলকাতার প্রতাপাদিত্য রায় রোডে শুরু হয়েছে ৫ টাকার ক্যান্টিন ৷
হিন্দোল দে, কলকাতা: বিধানসভা ভোটের মুখে চমক....মাত্র ৫ টাকায় পেট ভরে খাবারের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার চালু হল ‘মা কিচেন’ ৷ বালিগঞ্জ থেকে টালিগঞ্জ। কলকাতার নানা প্রান্তে স্বল্প মূল্যে খাবারের জন্য ভিড় জমালেন বহু মানুষ। নবান্ন থেকে পরিষেবার সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মা কিচেনে ৫ টাকায় মিলছে, ভাত, ডাল একটা তরকারি ও ডিমের ঝোল ৷ কলকাতার ১৬টি জায়গায় এবং রাজ্যের ২৭টি জায়গায় সোমবার থেকে শুরু হল ৫ টাকার ভোজ। দক্ষিণ কলকাতার প্রতাপাদিত্য রায় রোডে শুরু হয়েছে ৫ টাকার ক্যান্টিন ৷ খাবার খেয়ে অনেকেই জানিয়েছেন, ভাত খুব ভাল ৷ ডালও দারুণ ৷ দুপুরে সস্তায় খাবারের জন্য এবারের রাজ্য বাজেটে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মা কিচেনে প্রতি প্লেটে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য ৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে চলা এই কিচেন রোজ ৫০০ জনকে খাওয়ানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে ৷ রোজ দুপুর ১টা থেকে দুটো পর্যন্ত পাওয়া যাবে খাবার ৷ ভোটমুখী বঙ্গে সরকারের এই উদ্যোগ নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।ভোটের আগে ভাঁওতা বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বাম-কংগ্রেস।
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জানাচ্ছেন, ‘‘ভোটের আগে গিমিক দেওয়া হচ্ছে, গরিবদের খাবারের নামে আরও একটা দুর্নীতি হবে ৷’’ বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, ‘‘এবার টাকা লুঠের চেষ্টা হবে ৷’’
পাল্টা চড়া সুরে বিরোধীদের জবাব দিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা দক্ষিণের তৃণমূল সাংসদ মালা রায় জানান, ‘‘বিজেপি এত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে চাল সস্তায় দিয়েও মানুষ খেতে পাচ্ছে না, রান্না করা খাবার দিচ্ছি ৷’’
রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে সস্তায় খাবার দেওয়ার চল এই প্রথম নয়। তামিলনাড়ুতে মাত্র ১ টাকায় আম্মা ক্যান্টিন করেন জয়ললিতা ৷ অন্ধ্রপ্রদেশেও আছে ৫ টাকায় মিল ৷ ৮ টাকায় দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা চালু হয় রাজস্থানে ৷
করোনাকালে লকডাউনে কাজ হারানো মানুষদের জন্য দীর্ঘদিন ধরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন চালিয়ে আসছে বামেরা। ইতিমধ্যে রাজ্যবাসীকে জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশনের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের মুখে দুয়ারের সরকারের পর এই প্রকল্প তৃণমূলকে ডিভিডেন্ট দেয় কি না, সেটাই দেখার।