Jagdeep Dhankhar: শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে কেন বাধা পুলিশের? মুখ্যসচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব রাজ্যপালের
নবান্ন-রাজভবনের নেতাই-সংঘাত চরমে! ৭ জানুয়ারি নেতাই যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নেতাই যেতে কেন বাধা দিল পুলিশ (Police)? ব্যাখ্যা চেয়ে এবার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে (Harikrishna Dwibedi) একসপ্তাহের সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Governor Jagdeep Dhankhar)। এভাবে ডাকাডাকি করার এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই। পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও (TMC)। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
নবান্ন-রাজভবনের নেতাই-সংঘাত চরমে! ৭ জানুয়ারি নেতাই যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। কেন এমনটা ঘটল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে, রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যসচিবকে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)।
পাল্টা রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল শাসক শিবির। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, আইএএস অ্যাসোসিয়েশন ও রাজ্য পুলিশকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইটারে লেখেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ের শহিদ দিবসে কেন সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি? সেই ব্যাপারে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে পুলিশের এই আচরণ, আসলে আইনের শাসনের বদলে শাসকের আইনের প্রতিফলন। যা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়।
প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপালের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও।
পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, রাজ্যপাল এই ধরনের কথা কী করে বলেন? তাকে তো বুঝতে হবে, তিনি এই রাজ্যের রাজ্যপাল, প্রশাসনকে যদি কিছু আঘাত করতে হয়, তাহলে সেই আঘাত নিজের কাছেই আসে, একজন নেতাকে লক্ষ্য করে অথবা একটা দলের কোনও নেতৃত্বকে সামনে রেখে তিনি যে ডাকাডাকি করেন, সেটা তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না, তিনি এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ সবসময় করে থাকেন, সবাই দেখেছে, তাঁর উচিত, সংবিধান অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার পরামর্শ করে তাঁর চলা উচিত, ওনার কথায় সরকার চলবে, সেই দায়িত্ব সংবিধান দেয়নি।
৭ জানুয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাই যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে নালিশ জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, রাজ্যপাল এই ঘটনার সঙ্গে জরুরি অবস্থার তুলনা টানেন!
পাশাপাশি ঘটনার লিখিত রিপোর্ট-সহ মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে তলবও করেন। যদিও রাজভবনে যাননি মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। সূত্রের খবর, আইসোলেশনে থাকার জন্য বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানান মুখ্যসচিব ও ডিজি।
এরপর গত বুধবার রাজভবনে ফাঁকা চেয়ার-টেবিলের এই ছবি ট্যুইট করে রাজ্যপাল ফের নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। ট্যুইটে তিনি অভিযোগ করেন, বারবার ডাকার পরও মুখ্যসচিব ও ডিজি ফের বৈঠক বয়কট করলেন। ৩ দিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।
এবার রাজ্যপাল, একসপ্তাহ সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের সুর আরও চড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।