Siachen Avalanche: সিয়াচেনে ভয়ঙ্কর তুষারধস ! তছনছ সেনাদের বেসক্যাম্প; মৃত্যু ৩ জওয়ানের
Ladakh Avalanche: এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের পক্ষ থেকে মৃত তিন জওয়ানের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে, স্যালুট (Siachen Avalanche) জানানো হয়েছে।

Siachen Base Camp: মঙ্গলবার লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহে ভয়ানক তুষারধসে তিন সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সেনাছাউনির (Siachen Avalanche) কাছেই আছরে পড়েছে এই তুষারধস। জানা যাচ্ছে অগ্নিবীর সদস্যদেরও কেউ কেউ মারা গিয়েছেন এই দুর্যোগে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে লেহ-ভিত্তিক ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের নিহতদের নাম যথাক্রমে সিপাহী মোহিত কুমার, অগ্নিবীর নীরজ কুমার চৌধুরী এবং দাভী রাকেশ দেবাভাই।
এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্টে ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কর্পসের পক্ষ থেকে মৃত তিন জওয়ানের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে, স্যালুট (Siachen Avalanche) জানানো হয়েছে। জওয়ানদের এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়েছে আর তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। সিয়াচেন হিমবাহ যাকে প্রায়ই বিশ্বের সর্বোচ্চ রণক্ষেত্র হিসেবে মনে করা হয়, পূর্ব কারাকোরাম পর্বতমালায় প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে অবস্থানরত সেনারা চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। যেখানে তাপমাত্রা -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়, অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে, প্রবল তুষারপাত হয় আর ঝুঁকিও অনেক বেশি থাকে। এই কঠিন কঠোর পরিবেশে প্রকৃত যুদ্ধের চেয়ে তুষারপাত, অধিক উচ্চতায় অসুস্থতা আর দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটে।
GOC, Fire and Fury Corps and All Ranks salute Sepoy Mohit Kumar, Agniveer Niraj Kumar Choudhary and Agniveer Dabhi Rakesh Devabhai, who made supreme sacrifice in the line of duty in #Siachen on 09 Sep 2025 and offer deep condolences to the bereaved families in this hour of grief.… pic.twitter.com/dqrbKwefDH
— @firefurycorps_IA (@firefurycorps) September 9, 2025
সিয়াচেনে মোতায়েন করা সেনাদের কাছে শত্রুদের গুলিবর্ষণের চেয়েও অনেক বেশি ঝুঁকি রয়েছে তুষারপাতের। হাইপক্সিয়া এবং আকস্মিক তুষারধসের কারণে সেখানে প্রতিদিনই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। প্রতিদিনের হুমকির মধ্যে বেঁচে থাকাটাই সেখানে আসল যুদ্ধ। আর এই মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০২১ সালে হানিফ সাব-সেক্টরে দুই সৈন্য তুষারে চাপা পড়েছিলেন। আর ৬ ঘণ্টার অভিযানে বরফের নিচে আটকে থাকা বাকি সৈন্য ও পোর্টারদের বের করে আনা সম্ভব হয়েছিল। এর ২ বছর আগে ২০১৯ সালে ১৮ হাজার ফুট উঁচুতে একটি পোস্টের কাছে টহল দেওয়ার সময় আরও একটি তুষারধসে চারজন সেনা এবং দুইজন কুলি বা পোর্টারের মৃত্যু হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে ভয়ানক তুষারধস নেমেছিল ২০২২ সালে। তবে এটি ঘটেছিল সিয়াচেনের বাইরে। অরুণাচল প্রদেশের কামেং সেক্টরে একটি তুষারধসে সাতজন সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। আঘাতটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে তাদের মৃতদেহ মাত্র তিন দিন পরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।






















