Ladakh Temperature Rise: হিমবাহ গলছে, উত্তরোত্তর বাড়ছে তাপমাত্রা, লাদাখে এবার বিমান বাতিল করতে হল
Climate Change: বুধবার লেহ্-তে বিমান পরিষেবা বাতিল করতে হয় বেসরকারি সংস্থা Indigo-কে।
লেহ্: বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চলছে। দিল্লির চেয়ে কখনও উষ্ণ হয়ে উঠেছে কাশ্মীর। মরুভূমি দুবাইকেও বন্যায় ভাসতে দেখা গিয়েছে। সেই আবহে এবার লেহ্-লাদাখে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হল। মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার জেরে সেখানে বাতিল করতে হল বিমান পরিষেবা। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই এমন অবস্থা বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। (Ladakh Temperature Rise)
বুধবার লেহ্-তে বিমান পরিষেবা বাতিল করতে হয় বেসরকারি সংস্থা Indigo-কে। তাপমাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য রানওয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে বলে জানা যায়। সংস্থার মুখপাত্রের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, 'লেহ্-তে বাতাসের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বিমান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। উড়ান এবং অবতরণ, দুইয়ের ক্ষেত্রেই সমস্যা হচ্ছে'। পরিস্থিতি বিমান সংস্থার নিয়ন্ত্রণের বাইরে বলে জানান তিনি। (Climate Change)
লেহ্-র কুশক বকুলা রিম্পোচি বিমানবন্দের বোয়িং ৭৩৭ বিমান ওঠানামা করার জন্য সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুকুল। সমুদ্রের জলস্তরের থেকে লেহ্-র অবস্থান ১০ হাজার ৬৮২ ফুট উঁচুতে। ভৌগলিক কারণেই সেখানে বিমান ওঠানামা করার নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ রয়েছে। সেখান থেকে উড়ান এবং সেখানে অবতরণ, দুই-ই বেশ কঠিন কাজ। যে কারণে লেহ্-গামী লেহ্-ফেরত সমস্ত বিমানই অত্যধিক উচ্চতায় কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: Kerala Landslide: 'আগে নয়, ওয়েনাডে বিপর্যয়ের পর জারি লাল সতর্কতা,' শাহের দাবি খারিজ করলেন বিজয়ন
এমনিতে যত বেশি উচ্চতায় ওঠা যায়, বাতাসের ঘনত্ব ততই কমে। বায়ুমণ্ডলের চাপ কমে যায়। এর ফলে উড়ানের সময় সমস্যা দেখা দেয়। ইঞ্জিন শুরু করতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন বৈমানিকরা। রানওয়ের দৈর্ঘ্যও সাধারণের তুলনায় বেশি হতে হয়। তাই তাপমাত্রা যেমন যেমন পাল্টায়, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয় বিমান সংস্থাগুলিকে। লেহ্-র বিমানবন্দরে একটিমাত্র রানওয়ে রয়েছে, ২ হাজার ৭৫৪ মিটার দীর্ঘ।
লাদাখের তাপমাত্রার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গয় কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের আবহাওয়ায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উত্তর ভারতে একটানা তাপপ্রবাহের দরুণই এমন অবস্থা বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ৩০ বছরে লাদাখের তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েছে। হিমবাহগুলি সেই নিরিখে আকারে ছোট হয়েছে ক্রমশ। গাড়িঘোড়ার সংখ্যাবৃদ্ধি, সেনার গাড়ির আসা-যাওয়া যেভাবে বেড়েছে, তাতে দূষণ বৃদ্ধি পাওয়াতেই এই পরিবর্তন বলে দাবি করছেন পরিবেশবিদরা।