Pakistan News: আফগানিস্তানে সোভিয়েতের বিরুদ্ধে লড়াই, পরে ল_স্ক_রের প্রতিষ্ঠা, লাহৌরে নিজের বাড়িতেই ‘রহস্যজনক’ভাবে আহত হামজা
India-Pakistan Conflict: লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা।

নয়াদিল্লি: সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে Operation Sindoor চালিয়েছে ভারত। সেই রেশ কাটার আগেই গুরুত্বপূর্ণ খবর উঠে এল পাকিস্তান থেকে। সেখানে নিজের বাড়িতেই আহত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা। আসলে কী হয়েছে হামজার, সেই নিয়ে নানা তত্ত্ব উঠে এলেও, পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘রহস্যজনক’ভাবে নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়েছে হামজা। (Pakistan News)
পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লাহৌরে নিজের বাড়িতেই আহত হয়েছে হামজা। প্রথমে খবর আসে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। পরে জানা যায়, ‘রহস্যজনক’ভাবে পড়ে গিয়েছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছে হামজা। এই মুহূর্তে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। হামজার শারীরিক অবস্থা নিয়ে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। (India-Pakistan Conflict)
লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা। যে ১৭ জন মিলে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হামজা। সংগঠনের প্রধান আদর্শবাদী হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছে। লস্করের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও ছিল একসময়। হাফিজের নির্দেশে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখত হামজা। ২০১২ সালে আমেরিকা জানায়, লস্করের যে সেবা সংস্থা, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল হামজা। পাশাপাশি, লস্করের ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টেরও মাথায় ছিল।
আফগানিস্তান যুদ্ধে একসময় সশস্ত্র যোদ্ধার ভূমিকায় ছিল হামজা। সেই সময় আফগান মুজাহিদিনের অংশ ছিল সে। সেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে হামজা। পরবর্তীতে হাফিজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লস্করের পত্তন ঘটায়। জ্বালাময়ী ভাষণ এবং লেখনীশক্তির জন্য পরিচিত হামজা। লস্করের মুখপত্রের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি, একাধিক বইও লিখেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কাফিলা দাওয়াত অউর শাহদত’।
আমেরিকার ট্রেজারি বিভাগ লস্করকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছে। হামজাকেও নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। লস্করের হয়ে অর্থের সংস্থান থেকে নিয়োগ এবং জেলবন্দি জঙ্গিদের মুক্তি নিয়ে সমঝোতায় সিদ্ধহস্ত হামজা। ২০১৮ সালে লস্করের শাখা সংস্থা জামাত-উদ-দাওয়া, ফলা-ই-ইনসানিয়তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে উদ্যত হয় পাকিস্তান সরকার। সেই সময় থেকেই লস্করের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে হামজা।
পরবর্তীতে জইশ-ই-মনকফা নামের একটি সংগঠন তৈরি করে হামজা। লস্করের মতো বড় না হলেও, ওই সংগঠনও সন্ত্রাসী কাজকর্ম সম্পাদন করে। বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পাকিস্তানে অবাধে সন্ত্রাসী কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে জইশ-ই-মনকফা। আবার লস্কর এবং হাফিজের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে হামজার।





















