Ratlam Viral Video: চটি হাতে মুসলিম শিশুদের 'শাসন', বাধ্য করা হল 'জয় শ্রীরাম' বলতে, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে নিন্দার ঝড়
Viral Video: রতলামের অশোক নগরের সবজি ফরোশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
ভোপাল: চপ্পল হাতে নিয়ে তিন মুসলিম শিশুকে মার। 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করা। মধ্যপ্রদেশের রতলাম থেকে সামনে এল নিদারুণ অত্যাচারের ভিডিও। বিষয়টি সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। এফআইআর দায়ের হয়েছে এই ঘটনায়। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তিন শিশু একটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, কথা বলার অবস্থায় নেই বলে জানা গিয়েছে। (Ratlam Viral Video)
রতলামের অশোক নগরের সবজি ফরোশ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ৭, ১০ এবং ১২ বছরের তিন শিশুর উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অমৃত সাগর পুকুরে গিয়েছিল ওই তিন শিশু। সেখানেই তাদের উপর চড়াও হয় অভিযুক্ত তরুণ। অত্যাচারের ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। (Viral Video)
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, হাওয়াই চটি হাতে তিন শিশুকে মারছে অভিযুক্ত তরুণ। তাদের 'জয় শ্রীরাম' বলতে বাধ্য করছে। মার খাওয়ার পর কান ধরে বসে থাকা এক শিশু হাত তুলে 'জয় শ্রীরাম' বলছে। অন্য একটি শিশু মার খেয়ে 'আল্লাহ্' বলাতে ফের তাকে মারধর করে অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে প্রশ্ন করে, "কী বললি, আল্লাহ্! কেন বললি?" ফের চটি দিয়ে শিশুটিকে মারে সে।
Hello @DIG_RATLAM_MP @SP_RATLAM_MP @MPPoliceDeptt ये नफरती तीन बच्चों क़ो बंधक बना कर मार रहा है और उनसे जोर जबरदस्ती JSR के नारे लगवा रहा है और अल्लाह क़ो गाली दे रहा है। क्या इसके खिलाफ आप कार्यवाही करने के लिए सक्षम है।?@CMMadhyaPradesh साहब ये नफ़रत सही नहीं संज्ञान ले महोदय pic.twitter.com/oiUDeLJDgS
— ✊🏻,𝘚𝘢𝘮𝘦𝘦𝘳 𝘧𝘢𝘳𝘰𝘰𝘲𝘶𝘪,✊🏻 (@Itz_Sameerf_777) December 6, 2024
এর পর নতুন করে তিন শিশুকে মারধর করে অভিযুক্ত। কাঁদতে কাঁদতে ওই তিন শিশু বলে, "মেরো না, আর বলব না।" তার পরও মারধর চলতে থাকে। চটি দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি, চড়-থাপড়ও মারা হয়। এমন ভাবে মারা হয়, বার বার দেওয়ালে মাথা ঠুকে যায় এক শিশুর। সেই সঙ্গে তাদের গালিও দেওয়া হয়। ওই দৃশ্য যে ক্যামেরাবন্দি করছিল, তার হাসি শোনা যায় ব্যাকগ্রাউন্ডে। অভিযুক্ত তরুণও শিশুদের ওই অবস্থায় দেখে হাসছিল।
এই ঘটনায় এলাকার মুসলিম নাগরিকরা মানক চক থানায় বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান। রতলামের পুলিশ সুপার রাকেশ খাহা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাঁর খোঁজ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসেই ঘটনাটি ঘটে, সম্প্রতি সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই নাবালক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
রতলাম পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও-তে যাঁকে দেখা যাচ্ছে মারধর করতে, তাঁর বিরুদ্ধে অশালীনন আচরণ, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা, অন্যায় ভাবে আটকে রাখা, অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন, ধর্মের ভিত্তি গোষ্ঠী শত্রুতা, ঘৃণা এবং অশান্তিতে উস্কানি জোগানোর মামলা দায়ের হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন নিন্দার ঝড় উঠেছে, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন AIMIM নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'এ কেমন সমাজ, যেখানে নিজের ভগবানের প্রতি তো ভক্তি নেই-ই, অন্য ধর্মের লোকজনকে মারধর করে, জোর করা হয় স্লোগান তুলতে? ভেবে দেখুন এরা কোন সমাজে বড় হয়েছে, এদের শিক্ষা কেমন। এরা তো গণপিটুনির কোর্স করে ফেলেছে। প্রশ্ন হল, বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী নিজে এদের মালা পরাবেন, না কি মোদির কোনও মন্ত্রীকে ডাকা হবে? ওই ছেলেগুলোর মধ্যে সব গুণ রয়েছে ভবিষ্যতের বিজেপি নেতা হওয়ার'।