Bihar Man Eater: ৯ জনকে মেরে শেষমেশ প্রাণ হারাল বিহারের 'ম্যান ইটার'
Tiger Killed: ৯ জনকে শেষ করে অবশেষে প্রাণ হারাল বিহারের মানুষখেকো বাঘ। তার জন্য 'শুট অ্যাট সাইট'-র নির্দেশ জারি করেই রেখেছিলেন চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন প্রভাতকুমার গুপ্তা।
পটনা: ৯ জনকে শেষ করে অবশেষে প্রাণ হারাল (kill) বিহারের (bihar) মানুষখেকো (man eater) বাঘ (tiger)। তার জন্য 'শুট অ্যাট সাইট'-র নির্দেশ জারি করেই রেখেছিলেন চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন প্রভাতকুমার গুপ্তা। অপেক্ষা ছিল সময় ও সুযোগের। শেষমেশ শনিবার আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে হার মানল ম্যান ইটার।
ঘাতক বাঘের দাপট...
গত চার দিনে এক শিশু-সহ চার জনকে মেরেছিল সে। সব মিলিয়ে ওই ম্যান ইটার-র হাতে প্রাণ যায় ৯ জনের। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন সঞ্জয় মাহাতো নামে এক বছর ছত্রিশের যুবকও। পশ্চিম চম্পারণ জেলার রামনগর ব্লকের দুমরি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় লাগোয়া ঝোপে প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই তাঁর উপর চড়াও হয় মানুষখেকো বাঘটি। যুবকের মর্মান্তিক পরিণতির খবর ছড়াতেই গ্রামবাসীরা তার খোঁজ শুরু করেন। সংলগ্ন আখের খেতে তন্ন তন্ন করে খোঁজ করা হয়। ঘটনা হল, শুধু সঞ্জয় নন। এই ঘটনার কদিন আগেই কাছাকাছি বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা এক মা ও মেয়েকে ভয়ঙ্কর ভাবে মারা যেতে হয়। তখন ধারণা করা হয়েছিল, কোনও হিংস্র বন্য প্রাণীর আক্রমণেই প্রাণ গিয়েছে দুজনের। একই ভাবে বৃহস্পতিবার রাতে বাঘি পঞ্চায়েতের সিগাড়ি গ্রামে মারা যায় ১২ বছরের এক কিশোরী। মৃতের নাম বগাড়ি কুমারি বলে জানায় পুলিশ। সব মিলিয়ে আশঙ্কার পারদ চড়ছিলই। তবে সঞ্জয়ের ঘটনার পর 'দেখলেই গুলির' নির্দেশ দেন চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন।
কী ভাবে নিকেশ বাঘ?
প্রথমে মানুষখেকো বাঘকে নিস্তেজ করতে ৪০০ জনের একটি দল গঠন করে পশ্চিম চম্পারণ জেলার বন দফতর। হায়দরাবাদের স্নাইপার শাফাত আলিকে বিশেষ ভাবে ডেকে পাঠানো হয়। তার পরই চলে অভিযান। বন দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, বাঘটি লোকালয়ে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এটা বোঝার পরই তাকে মারার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই এই সিদ্ধান্ত, ব্যাখ্যা তাঁর। তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন তাঁরা। এই ম্যান ইটারের হাতে প্রাণ খোয়ানোর যে কটি ঘটনা ঘটেছে, সবকটিই বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভ-র এলাকার আশপাশে। বিহারের একমাত্র ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প এই বাল্মিকী টাইগার রিজার্ভ ৯০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি ন্যাশনাল পার্ক। ২০১৮ সালে সেখানে বাঘের সংখ্য়া ছিল ৪০। এই প্রকল্প এলাকার আশপাশেই সব কটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় বন দফতর। কিন্তু কেন সে মানুষখেকো হয়ে উঠল? সত্যিই কি বাঘটি মেরে ফেলা ছাড়া অন্য কোনও পথ ছিল না? এই প্রশ্নগুলিও উঠছে এর মধ্যে।
আরও পড়ুন:কখনও কাঁসর, কখনও ঢাক, কখনও আবার মাতলেন নাচে, কার্নিভালে অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী