Manipur Violence : মণিপুরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরাল হাজারের বেশি বিক্ষুব্ধ জনতা
RK Ranjan Singh : এনিয়ে দ্বিতীয়বার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চলল। মে মাসে হামলার সময়, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ
নয়া দিল্লি : লাগামছাড়া হিংসা মণিপুর। এবার কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর বাড়িতেই হামলা চালাল বিক্ষুব্ধ জনতা। হাজারের বেশি জনতার একটি দল গত রাতে মণিপুরে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আর কে রঞ্জন সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। যদিও সেই সময় ইম্ফলের বাড়িতে ছিলেন না কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তফসিলি উপজাতি ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরে সংঘর্ষ চলছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।
অশান্তির জেরে কার্ফু চলছে ইম্ফলে। কিন্তু, কার্ফু এড়িয়েই কংবা এলাকায় ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। যদিও ঘটনার সময় মন্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে নয় এসকর্টকর্মী, পাঁচ সিকিউরিটি গার্ড এবং আট জন অ্যাডিশনাল গার্ড ছিলেন । এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, হামলার সময় বিভিন্ন দিক থেকে পেট্রোল বোমা ছুড়তে থাকে আক্রমণকারীরা।
এসকর্ট কমান্ডার এল দিনেশ্বর সিং বলেন, 'প্রচুর সংখ্যক লোক ছিল । তাই তাদের আঠকাতে পারিনি আমরা। সব দিক থেকে পেট্রোল বোমা ছোড়া হচ্ছিল। বিল্ডিংয়ের পেছনে বাইলেন থেকে, সামনের প্রবেশদ্বার থেকে পেট্রোল বোমা ছোড়া হচ্ছিল। বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। প্রায় ১২০০ লোক ছিল বিক্ষুব্ধদের মধ্যে।'
এনিয়ে দ্বিতীয়বার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চলল। মে মাসে হামলার সময়, বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। মে মাসের ৩ তারিখে মেইতি সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতিতে অন্তর্ভুক্তির দাবির প্রতিবাদে হিল ডিস্ট্রিক্টে 'Tribal Solidarity March'-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তার পরেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে সেখানে। মণিপুরে হিংসা আরও বেড়ে যাওয়ার কারণ, রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে কুকি সম্প্রয়াদের মানুষকে উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। যার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টুকরো টুকরো হিংসা সংগঠিত হতে থাকে। উল্লেখ্য, মণিপুরে মেইতি সম্প্রদায় সংখ্যা গরিষ্ঠ। তাদের পরেই রয়েছে নাগা ও কুকির মত সম্প্রদায়।
বিদেশ ও শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী আরকে রঞ্জন সিং গত মাসে মেইতি ও কুকি সম্প্রদায়ের বিদ্বজনদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন। অশান্তি-বিধ্বস্ত মণিপুরে কী করে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মন্ত্রী। মণিপুরে এই অশান্তির জন্য স্থানীয় স্তরে যেসব নেতা জড়িত তাঁদের শনাক্ত করার দাবি জানান তিনি।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল ও তার আশপাশের এলাকায় বসবাস মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষের। অন্যদিকে, কুর্কি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকে পাহাড়ি এলাকায়। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গত ৩ মে-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১০০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মণিপুরে।