Mizoram-Assam border tension: দুই মুখ্যমন্ত্রীর 'ট্যুইট যুদ্ধে'র পর অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষ, নিহত ৬ পুলিশকর্মী
অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষের জের। নিহত অসম পুলিশের ছয় কর্মী। এর পাশাপাশি ঘটনায় আহত ৫০ জন পুলিশকর্মী।
গুয়াহাটি : অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষের জের। নিহত অসম পুলিশের ছয় কর্মী। এর পাশাপাশি ঘটনায় আহত ৫০ জন পুলিশকর্মী। তাঁদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
দিনদুয়েক আগেই উত্তর-পূর্বের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর আজ, সোমবার অসম ও মিজোরামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সীমানায় গোলা-গুলি, এমনকী সরকারি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলার ঘটনাও ঘটে। এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, দুই রাজ্যের সীমানায় আট কৃষকের কুঁড়েঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন একাজ করে। তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর ট্যুইট করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, "এটা জানাতে আমি ভীষণভাবে মর্মাহত বোধ করছি যে, অসম পুলিশের ছয় বীর জওয়ান অসম-মিজোরাম সীমানায় সাংবিধানিক সীমানা রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শোকগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই।"
দুই রাজ্যে দীর্ঘদিনের এই বিবাদের মাঝেই অসম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে বলেছিলেন। সূত্রের খবর, উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও জোরামথাঙ্গা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। জোরামথাঙ্গা লেখেন, সম্মানীয় @himantabiswa জি যেমনটা আলোচনা হয়েছিল সেই অনুযায়ী অসম পুলিশকে ভৈরেঙ্গতে থেকে পিছিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিন। সেই অনুযায়ী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও উত্তর দেন। এর পাশাপাশি প্রয়োজনে আইজল গিয়ে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথাও বলেন।
আজই দিনের শুরুতে সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা জানাতে উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে ট্যুইটে একে অপরের বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন। এই পরিস্থিতিতে শাহর মধ্যস্থতা দাবি করেন জোরামথাঙ্গা।
তিনি অভিযোগ করেন, কাহার হয়ে ফেরার পথে মিজোরামের নিরীহ মানুষকে গুণ্ডারা হেনস্থা করছে। এই হিংস্র ঘটনাগুলিকে আপনি কীভাবে সুবিচার করবেন ?
অন্যদিকে শর্মা ট্যুইট করেন, সম্মানীয় @ZoramthangaCM জি মিজোরামের কোলাসিবের এসপি আমাদের পোস্ট থেকে আমাদের সরে যেতে বলছেন। নাহলে সেখানকার বাসিন্দারা হিংসা থামাবে না। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সরকার চালানো সম্ভব ?