১৮ বছর পর আমেরিকায় মাঙ্কিপক্সের হানা, রোগের লক্ষণ বুঝবেন কীভাবে ?
২০০৩ সালে শেষ এই রোগ দেখা গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন করে এই রোগ ধরা পড়ায় চিন্তায় মার্কিন নাগরিকরা। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজিরিয়া থেকে আমেরিকায় এসেছেন।
ওয়াশিংটন: ফের মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ ধরা পড়ল আমেরিকায়। ২০০৩ সালে শেষ এই রোগ দেখা গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন করে এই রোগ ধরা পড়ায় চিন্তায় মার্কিন নাগরিকরা। কী দেখে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ বুঝবেন ?
'দ্য সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' (CDC) ও 'টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট হেলথ সার্ভিসেস' সম্প্রতি একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। যেখানে বলা হয়ছে , গত ১৫ জুলাই আমেরিকায় নতুন করে একজনের দেহে মাঙ্কি পক্স ধরা পড়েছে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজিরিয়া থেকে আমেরিকায় এসেছেন।
হেলথ অফিশিয়ালরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নাইজিরিয়ার লাগোস থেকে ডালাসে এসেছেন। পথে কারা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন, তার খোঁজ করা হচ্ছে। শেষ ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় এই রোগে সংক্রমিত হন ৪৭ জন। সিডিসি জানিয়েছে, একবার মাঙ্কিপক্স হলে ব্যক্তির ফ্লু-এর মতো লক্ষণ দেখা দেবে। অনেক সময় বিভিন্ন অঙ্গ ফুলে ওঠে সংক্রমিতের। পরে ব্যক্তির মুখে ও দেহে র্যাশ বেরিয়ে পড়ে।
মাঙ্কিপক্স আসলে কী ?
সিডিসি জানাচ্ছে, ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স দেখা যায়। সেই সময় স্মল পক্সের মতো আলাদা কিছু রোগ দেখতে পান ডাক্তাররা। যে এলাকায় এই রোগ দেখা যায়, সেখানে গবেষণার জন্য বাঁদর রাখা হয়েছিল। সেই থেকেই এই পক্সের নাম দেওয়া হয় মাঙ্কিপক্স। মানব দেহে প্রথম মাঙ্কি পক্স দেখা যায় ১৯৭০ সালে। কঙ্গোতে স্মল পক্সের চিকিৎসা করতে গিয়ে এই রোগের সঙ্গে পরিচিত হন ডাক্তাররা। এরপর থেকেই আফ্রিকার মধ্য ও পশ্চিম ভাগে এই রোগ দেখা যেতে থাকে।
কোথা থেকে এই রোগ ছড়ায় তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তবে আফ্রিকার বিশেষ প্রজাতির ইঁদুর এই সংক্রমণের বাহক বলে মনে করেন অনেকেই। তবে সিডিসি-র মতে, কোনও ব্যক্তি মাঙ্কিপক্স নিয়ে বিমানবন্দরে থাকলে তার ড্রপলেটস থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কম।
মাঙ্কি পক্সের লক্ষণ কী ?
কোনও ব্যক্তির মাঙ্কি পক্স হলে স্মল পক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যাবে। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেশিতে যন্ত্রণা এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। কোনও ব্যক্তির মাঙ্কি পক্স হলে তা ধরা পড়তে ৭-১৪ দিন লাগে। অনেক ক্ষেত্রে এই সময়টা বেড়ে ৫-২১ দিন হতে পারে। তবে ১-৩ দিনের মধ্যে মাঙ্কি পক্সে জ্বর আসে রোগীর। এরপরই মুখে গোটা বা র্যাশ বের হয়। পরবর্তীকালে মুখ থেকে যা শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
মাঙ্কি পক্সের চিকিৎসা ?
মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের এখনও কোনও প্রামাণ্য চিকিৎসা প্রকাশিত হয়নি। বর্তমানে আমেরিকায় মাঙ্কি পক্সে স্মল পক্সের মতো অ্যান্টি ভাইরাল , ভিআইজি প্রয়োগ করা হয়। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হাত ধুতে হবে বার বার। কোনও সময় মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর দেখভাল করতে হলে অবশ্যই পিপিই কিট পরতে হবে।