Rain Accident : চলন্ত ট্রেনে ব্যাগ ছিনতাই ! টানাহেঁচরায় রেললাইনে চিকিৎসক দম্পতি, কাটা পড়ল হাত
ট্রেনের গতি কমে গেলেও হাত বাঁচানো যায়নি। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন চিকিৎসক। দুষ্কৃতী হ্যান্ডব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেয়।

ট্রেনে ছিনতাই রুখতে গিয়ে হাত হারালেন চিকিৎসক। ভয়াবহ ঘটনা ঘটল সকলের সামনে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। লড়াই শেষমেষ রেললাইনে পড়ে গিয়ে হাত হারিয়ে ফেলা। গা-শিউরে ওঠা ঘটনা ঘটে গেল যাত্রীদের চোখের সামনেই। চলন্ত ট্রেনে ডাকাতি রুখতে গিয়ে রেললাইনে পড়ে গিয়ে হাত-কাটা পড়ল ডাক্তারবাবুর। পর মুম্বাইয়ের ৫০ বছর বয়সী একজন ডাক্তার তার হাতের একটি অংশ হারিয়ে ফেলেন।
NDTV সূত্রে খবর, বুধবার মহারাষ্ট্রের লোকমান্য তিলক টার্মিনাস (কুরলা)-নান্দেদ এক্সপ্রেসে ওঠেন চিকিৎসক যোগেশ দেশমুখ । সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী দীপালি দেশমুখ।সঙ্গে ছিল নয় বছরের ছোট্ট মেয়ে। কাঞ্জুনমার্গ থেকে ভান্ডুপের মাঝামাঝি সময়ে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি কুর্লা টার্মিনাস ছেড়ে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট পরেই দুষ্কৃতীরা হানা দেয় কামরায়। এক দুষ্কৃতী চিকিৎসক দেশমুখের হ্যান্ডব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আটকাতে গেলে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। মহিলা চিকিৎসকের হ্যান্ডব্যাগটি ধরে টানতে থাকে তারা। টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রেনের গেট পর্যন্ত। সেই সময় ট্রেনের উপরের বার্থে ঘুমাচ্ছিলেন তাঁর চিকিৎসক স্বামী। স্ত্রীর বিপদ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে বাঁচাতে চেষ্টা করেন। এমন টানাটানিতে দুজনেই লাইনের উপর পড়ে যান। এতে প্রচণ্ড আঘাত পান দীপালি দেশমুখ। কিন্তু স্বামীর হাতের একটি অংশ ট্রেনের নিচে পিষে যায়। ততক্ষণে ট্রেনের গতি কমে গেলেও হাত বাঁচানো যায়নি। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন চিকিৎসক। দুষ্কৃতীও হ্যান্ডব্যাগটি নিয়ে চম্পট দেয়।
সহযাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার সময় কোনও রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মী উপস্থিত ছিলেন না। দীপালি দেশমুখ পুলিশকে জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী পুলিশ হেল্পলাইনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু লাভ হয়নি। মাঝ রাস্তায় তাঁরা বোঝাতেই পারেনি কোথায় ঘটেছে ঘটনাটা। তারপর একজন টেম্পো চালক তাদের সাহায্য চাইতে দেখেন ।তাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। রেলওয়ে সূত্রের খবর, দম্পতির নাবালিকা মেয়েকে কল্যাণ স্টেশনে নিরাপদে নামানো হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তারপর সক্রিয় হয় তারা । রেলওয়ে পুলিশ দুষ্কৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে । সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুব শিগগিরি অভিযুক্তদের আটক করার চেষ্টা চলছে। চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে সহযাত্রী ও ওই চিকিৎসক দম্পতির কন্যা।






















