এক্সপ্লোর
Advertisement
অমিত শাহর আশ্বাসে অবশেষে সচিবালয়ে ফিরছেন নীতিন পটেল
নয়াদিল্লি: গুজরাতে দলের নতুন সরকারের সংকট সামাল দিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব হ্রাস নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী নীতিন পটেলের ক্ষোভ প্রশমনে এগিয়ে এলেন অমিত শাহ। পটেল যে দফতরগুলির দায়িত্ব চেয়েছেন, সেগুলি তাঁকে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্বয়ং নীতিন পটেলই। তিনি বলেছেন, দলের সভাপতি এদিন সকালে আমার চাওয়া মন্ত্রকগুলি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আজই সচিবালয়ে গিয়ে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, গুজরাতে অন্যতম হেভিওয়েট নেতা পটেল এবং বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পাতিদার নেতা। অর্থ ও নগরোন্নয়ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁকে না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বলে খবর। এমনকি পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন।
তাঁর এই ক্ষোভ নিয়ে বিজেপির মধ্যে ফাটল ধরাতে আসরে নেমে পড়েছিলেন পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল। তিনি বলেন, ‘উনি ১০ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি ছাড়ুন। কংগ্রেসে যাতে ওঁকে উপযুক্ত পদ দিয়ে নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে আমি কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলব।’
তাঁর অসন্তোষ ঘিরে জল্পনার মধ্যেই নীতিন জানিয়েছিলেন, বিষয়টি আত্মমর্যাদার। তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্য দলের হাইকম্যান্ডকে জানিয়ে দিয়েছি। তাঁরা আমার অনুভূতি সম্পর্কে যথাযথ উত্তর দেবেন বলে আমি আশাবাদী। এটা কয়েকটি মন্ত্রকের ব্যাপার নয়, আত্মমর্যাদার।
মন্ত্রিসভার দফতর বন্টনে নীতিন পটেলের অসন্তোষের খবর সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। তবে তিনি বলেন যে, অর্থমন্ত্রক থাকুক বা না থাকুক, নীতিনই সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, গত সরকারে নীতিনের হাতে অর্থ, নগরোন্নয়ন ও পেট্রোলিয়ামের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতর ছিল। এবার তিনটিই তাঁর হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থ দফতর দেওয়া হয়েছে তাঁর জুনিয়র অম্বানিদের আত্মীয় সৌরভ পটেলকে, অন্য দুটি দফতর রূপানি নিজের কাছে রেখেছেন।
নীতিন ১৯৯৫-এ প্রথমবার মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৬-তে যখন আনন্দীবেন পটেলকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো হয়, তখন নীতিনই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত অতিম শাহর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রূপানিকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
অমিত শাহর আশ্বাসে আপাতত সংকট কাটল। তবে বিজেপির এক নেতা বলেছেন, ওই সংঘাতের পর্বটি দলের পক্ষে একেবারেই ভালো হল না। এতে পাতিদারদের কাছে ভুল বার্তা গেল। এটা একেবারেই কাঙ্খিত নয় বলে ওই নেতার অভিমত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement