এক্সপ্লোর
Advertisement
বারামুলা সন্ত্রাস: নিরাপত্তারক্ষীদের মুহূর্তের ভুলে পালাল ২ জঙ্গি
নয়াদিল্লি: প্রথমে জানা গিয়েছিল, বারামুলা হামলায় জড়িত ২ জঙ্গিকেই খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। সোমবার সকালে সার্চ অপারেশন শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়নি। অর্থাৎ, রাতের অন্ধকারে সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে তারা। এ পক্ষে শহিদ হয়েছেন ১ জওয়ান, আর ১জন গুরুতর জখম।
রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জম্মু কাশ্মীরের বারামুলায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও বিএসএফ ছাউনিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। শ্রীনগর থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে জাঁবাজপোরা এলাকায় রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৪৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ছাউনিকে নিশানা করে তারা। শুরু হয় দুপক্ষের গুলিবিনিময়।
ঘটনাস্থলে রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও বিএসএফ- দুই নিরাপত্তাবাহিনীরই ছাউনি রয়েছে। পাশে বইছে ঝিলম নদী। জঙ্গিরা ছক কষেছিল, রাতের অন্ধকারে ছাউনিতে ঢুকে ঘুমন্ত জওয়ানদের উরির মত টার্গেট করবে। গ্রেনেড ছুঁড়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু দরজায় পাহারায় থাকা সান্ত্রীরা তাদের রুখে দেন। গ্রেনেড ছুঁড়েই জঙ্গিদের ওপর আক্রমণ করেন তাঁরা। রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ছাউনিতে প্রবেশ করতে না পেরে জঙ্গিরা হানা দেয় পাশের বিএসএফ ছাউনিতে। শুরু হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময়।
আড়াই ঘণ্টার যুদ্ধের পর দেখা যায়, বিএসএফের এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। জানা গেছে, মৃতের নাম নীতিন। জখম হয়েছেন পুলবিন্দর নামে আর এক জওয়ান। দু’জনেই ছিলেন বিএসএফের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নে।
উরি সন্ত্রাস ও বারামুলার ঘটনার বেশ কয়েকটি মিল আছে। দুটি ঘটনাই ঘটেছে রাতের সুযোগ নিয়ে। উরিতে টার্গেট করা হয় সেনা ছাউনি, বারামুলাতেও নিরাপত্তাবাহিনীর ছাউনি নিশানা করা হয়েছে। দুক্ষেত্রেই জঙ্গিদের কাছে গ্রেনেড ছিল।
বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মা হামলার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও রাজনাথ গভীর রাত পর্যন্ত নজর রাখেন অপারেশনের দিকে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement