দেশের ৭ বিধানসভা, ৩ লোকসভা আসনে উপ-নির্বাচন সোমবার
কলকাতা: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তিনটি লোকসভা ও সাতটি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে সোমবার।
যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হচ্ছে, সেগুলি হল—পশ্চিমবঙ্গের মহেশতলা, ঝাড়খণ্ডের গোমিয়া ও সিল্লি, বিহারের জোকিহাট, পঞ্জাবের শাহকোট, কেরলের চঙ্গানুর এবং মেঘালয়ের আমপাতি। উপ-নির্বাচন হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা ও মহারাষ্ট্রের পালঘর লোকসভা আসনে। এছাড়া, নাগাল্যান্ডের একমাত্র লোকসভা আসনেও উপ-নির্বাচন হচ্ছে।
যে সাতটি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের মধ্যে পশ্চিমঙ্গের মহেশতলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৃণমূলের হয়ে এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা প্রয়াত বিধায়ক কস্তুরী দাসের স্বামী দুলাল দাস। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজেপির সুজিতকুমার ঘোষ, যিনি সিবিআই-এর প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা এবং সিপিএমের প্রভাত চৌধুরীর।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডের গোমিয়াতে মূল লড়াই বিজেপির মাধবলাল সিংহ, এজেএসইউ-র লম্বোদর মাহাতো এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পদ হারানো জেএমএম বিধায়ক যোগেন্দ্র মাহাতোর স্ত্রী ববিতা দেবীর। একইভাবে সিল্লিতে মূল লড়াই প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা এজেএসইউ সভাপতি সুদেশ মাহাতো এবং সদস্যপদ বাতিল হওয়া জেএমএম বিধায়ক অমিত মাহাতোর স্ত্রী সীমা মাহাতোর।অন্যদিকে, বিহারের আরারিয়া জেলার জোকিহাট আসনে এখানে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির মধ্যে শক্তি-পরীক্ষা হতে চলেছে। জেডিইউ বিধায়ক সরফরাজ আলম ইস্তফা দিয়ে আরজেডি শিবিরে যোগ দেওয়ায় এই উপ-নির্বাচন প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
মেঘালয়ের আম্পাতি আসনে লড়াই কংগ্রেস ও বিজেপির। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা আসন ছেড়ে দেওয়ায় উপ-নির্বাচন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। নির্বাচন জিতলে কংগ্রেস একক বৃহত্তম দল হয়ে উঠে আসবে। ফলে, রাজ্যে পালাবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
উপনির্বাচন হচ্ছে পঞ্জাবের শাহকোট বিধানসভা আসনে। অকালি বিধায়ক অজিত সিংহ তোমরের মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা পড়েছিল। এখানে লড়াই ত্রিমুখী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে কংগ্রেস, অকালি ও আম আদমি পার্টির মধ্য়ে।
উপনির্বাচন হচ্ছে কেরলের চেঙ্গানুর বিধানসভা আসনে। সিপিএমের বিধায়ক কে কে রামচন্দ্রণের মৃত্যুতে এখানে উপ-নির্বাচন করতে হচ্ছে। মূল লড়াই শাসক এলডিএফ, বিরোধী ইউডিএফ ও এনডিএ-র মধ্য়ে।
বিধানসভার পাশাপাশি, তিনটি লোকসভা কেন্দ্রেও উপ-নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কেন্দ্র ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি সাংসগদ হুকুম সিংহের মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা ছিল। উপনির্বাচন হচ্ছে মহারাষ্ট্রের পালঘরেও। ইতিমধ্যেই, শরিক বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলি করার অভিযোগ করেছে শিবসেনা। পাল্টা একই অভিযোগ করেছে বিজেপিও।
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি নেতা (এনডিপিপি) নেইফিউ রিও সাংসদ হিসেবে ইস্তফা দিলে, লোকসভা আসনে উপ-নির্বাচন অবিশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। এখানে মূল লড়াই কংগ্রেস-সমর্থিত নাগা পিপলস ফ্রন্ট (এনপিএফ) প্রার্থী সি অপোক জামির এবং বিজেপি সমর্থিত শাসক পিপলস ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (পিডিএ) প্রার্থী তোকেহো ইয়েপথোমির মধ্যে।