১৭ মে-র পর কী? লকডাউন মেয়াদ বৃদ্ধির মাপকাঠি কী, প্রশ্ন সনিয়ার, আর্থিক সহায়তার দাবি কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের
করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে লকডাউন ৩ শেষ হওয়ার পর দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে জানতে চাইল কংগ্রেস। কোন মাপকাঠি অনুসারে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাও কংগ্রেস জানতে চেয়েছে।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে লকডাউন ৩ শেষ হওয়ার পর দেশকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে জানতে চাইল কংগ্রেস। কোন মাপকাঠি অনুসারে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাও কংগ্রেস জানতে চেয়েছে। কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী প্রশ্ন করেছেন, ১৭ মে-র পর কী? লকডাউন কতদিন চলবে, তা স্থির করতে কেন্দ্র কোন মাপকাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে?
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিংহও বৈঠকে একই ধরনের প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, লকডাউন ৩-র পর কী হবে, তা জানার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীদের এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে এবং প্রশ্ন করতে হবে যে, লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে কেন্দ্রের কৌশল কী ?বৈঠকে বলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীও।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের অভিযোগ, নজিরবিহীন সংকটের এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে অর্থ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, কোভিড-১৯ অতিমারীর ফলে অর্থনীতি কার্যত থমকে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উজ্জীবক প্যাকেজ দেওয়া দরকার। এ ধরনের প্যাকেজ দেওয়া না হলে দেশ ও রাজ্যগুলি কীভাবে চলতে পারে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন গেহলট। তিনি বলেছেন, তাঁদের সরকারের ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই করোনাভাইরাস অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করছে বলে অভিযোগ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহের। তিনি বলেছেন, দিল্লিতে বসেই বাস্তব পরিস্থিতি না জেনে কোভিড-১৯ এলাকাগুলির চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
ছত্তিশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, রাজ্যগুলি চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে। তাদের অবিলম্বে সহায়তার প্রয়োজন।