এক্সপ্লোর
Advertisement
জুনের মাঝামাঝি করোনাভাইরাস অতিমারী থেকে মুক্তি ভারতের? কী বলছে সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার গতি সংক্রান্ত তথ্যের বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তি রোগীদের আক্রান্ত হওয়া ও সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান।
নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস কার্যত ত্রাসের সঞ্চার করেছে। অদৃশ্য এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে জোর কদমে। এরই মধ্যে অতিমারী নিয়ে একটি বড়সড় পূর্বাভাস সামনে এসেছে। করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান নিয়ে গবেষণাই এই পূর্বাভাসের ভিত্তি। এই পূর্বাভাসের মোদ্দা কথা, মে মাসে ভারতে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ১৮ জুন দেশ করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্ত হতে পারে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই পূ্র্বাভাস সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (এসইউটিডি)-র সমীক্ষার। অন্যদিকে, রয়েছে ভারত সরকারেরও একটি পরিসংখ্যান।
সমীক্ষার পূর্বাভাস , মে মাস ভারতের পক্ষে সুসংবাদ নিয়ে আসতে পারে। মে করোনা-মুক্তির মাস হয়ে উঠতে পারে।
এসইউটিডি-র পূর্বাভাস, ১৮ জুনের মধ্যে করোনা-মুক্ত হতে পারে ভারত। তারা বলেছে, ২১ মে-র মধ্যে ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। শুধু তাই নয়, ১৮ জুনের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার গতি সংক্রান্ত তথ্যের বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা হয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তি রোগীদের আক্রান্ত হওয়া ও সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ১০০ শতাংশ শেষ হতে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্তও লাগতে পারে।
সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা সংক্রান্ত পূর্বাভাস কতটা সঠিক হবে, তার উত্তর ভবিষ্যতই দেবে। কিন্তু এই সমীক্ষা কিছুটা আশার আলোও দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় স্পেন ও ইতালি সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক প্রমাণিত হচ্ছে।
সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে- ১৬ মে পর্যন্ত সংক্রমণের হার হতে পারে সবচেয়ে কম।
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, লকডাউনের প্রথম সপ্তাহ (২৪-৩০ মার্চ) দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫.২ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল। দ্বিতীয় সপ্তাহে (৩১ মার্চ-৬ এপ্রিল) আক্রান্তের সংখ্যার হার কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল এবং মাত্র ৪.২ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছিল।
তৃতীয় সপ্তাহ (৭-১৩ এপ্রিল) ৬দিনে, চতুর্থ সপ্তাহে (১৪-২০ এপ্রিল) আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছিল ৮.৬ দিনে। এরপর ২১ এপ্রিল থেকে শুরু পঞ্চম সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে যে, আক্রান্ত সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে ১০ দিনে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশিতে পৌঁছতে পারে ৩০ এপ্রিল। এরপর তা দ্রুত কমতে কমতে ১৬ মে ন্যূনতম স্তরে পৌঁছবে। অর্থাত, এটাই সেই সপ্তাহ, যা সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭ শতাংশ হ্রাস হতে পারে।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভারত সরকারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি যা বলেছে, তার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার একটি বিষয়ে মিল রয়েছে। অর্থাত্, আগামী মে মাসের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য আসতে পারে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
খবর
Advertisement