দলীয় পদ থেকে ৪ মন্ত্রীকে বহিষ্কার করলেন শশীকলা-ঘনিষ্ঠ দীনাকরণ, আস্থাভোটের দাবি কংগ্রেসের
চেন্নাই ও পুদুচেরি: দলে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা কোণঠাসা হয়ে পড়া এআইএডিএমকে নেতা টিটিভি দীনাকরণ। বুধবার দলীয় পদ থেকে তিনি চার মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন।
গতকালই পালানিস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন দীনাকরণ। এদিন পুদুচেরির একটি রিসর্টে থেকে পালানিস্বামী মন্ত্রিসভায় থাকা চার মন্ত্রীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেন। চারজন হলেন—আর বি উথায়াকুমার, কেসি বীরমণি, এমআর বিজয়ভাষ্কর ও আর কামরাজ।
জানা গিয়েছে, ওই রিসর্টে ১৮ অনুগত বিধায়ককে নিয়ে ছিলেন, যাঁরা গতকাল রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে বর্তমান সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনার পরই বিধানসভায় আস্থাভোটের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। গতকাল একই দাবি তুলেছিল প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে। তাদের দাবি, ২২ জন এডিএমকে বিধায়ক রাজ্যপাল চন্দ্র বিদ্যাসাগর রাওয়ের কাছে চিঠি জমা দিয়ে পালানিস্বামী সরকারের ওপর অনাস্থা দেখিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২৩৪-আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ু বিধানসভায় এডিএমকে-র হাতে রয়েছে ১৩৪ বিধায়ক। জেলে বন্দি দলীয় প্রধান ভি কে শশীকলার ভাই দীবাকরণ দাবি করেন, বিধানসভায় পালানিস্বামী সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী পদে পালানিস্বামীর জায়গায় দলিত নেতা পি ধনপালের নামও প্রস্তাব করেন তিনি।
যদিও, এই নিয়ে চিন্তিত নন পালানিস্বামী ও পনীরসেলভম। এদিন তাঁরা দুজনে একসঙ্গে এডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রণের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রসঙ্গত, সোমবারই পালানিস্বামী ও পনীরসেলভম নেতৃত্বধীন এডিএমকে-র দুই বিবাদমান গোষ্ঠী এক হয়ে যায়। ফলে, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ পান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম।
সংযুক্তিকরণের পূর্বশর্ত ছিল শশীকলা ও তাঁর অনুগামীদের দল থেকে বাদ দিতে হবে। সেই মতো কাজও শুরু করে দিয়েছে পালানিস্বামী সরকার।