Mamata Supports Farmers: "পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঢুকতে দেবেন না", ফোনে মমতাকে আর্জি কৃষক আন্দোলনকারীদের
ডেরেক ও'ব্রায়েনকে কৃষকদের কাছে পাঠিয়েছেন, ফোনে চারবার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী
কলকাতা: দিল্লির কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আন্দোলনরত কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী।
সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে কৃষকদের কাছে পাঠিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছেন তাঁকে। সেখান থেকেই দলীয় সাংসদের ফোনের মাধ্যমে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা হয় তৃণমূলনেত্রীর।
সূত্রের খবর, ফোনে চারবার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা কৃষকদের জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি ন্যায়সঙ্গত। তৃণমূলও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সরব। জানা গিয়েছে, ফোনে মমতাকে কৃষকদের আর্জি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ঢুকতে দেবেন না।
দেশব্যাপী কৃষি আন্দোলনের প্রতি সমর্থনে এবং কেন্দ্রের কৃষি-আইনের বিরোধিতায় এগিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে ট্যুইট করে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। আর তা করতে গিয়ে সিঙ্গুরে কৃষিজমি আন্দোলনের কথা উল্লেখ করেন।
কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযানের সমর্থনে ট্যুইটে তৃণমূলনেত্রী লেখেন, জোর করে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না, এই দাবি নিয়ে ১৪ বছর আগে, ২০০৬-এর ৪ ডিসেম্বর, কলকাতায় ২৬ দিনের অনশনে বসেছিলাম। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই রাক্ষুসে কৃষি আইন পাস করেছে কেন্দ্র। এই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি আমার সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
৯ দিনে পা দিল কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান। এরই মধ্যে তিন কৃষি আইনেই পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে মোদি সরকার। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়েও নতুন আইনের সম্ভাবনা।
এদিকে, এই আন্দোলনে বিরোধীদলগুলিকে সামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে শিরোমণি অকালি দল। আগামীকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবিবার উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন অকালি দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনা বিজেডি, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও। আজ এ নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাবনা তৃণমূলের।
অন্যদিকে, কৃষকদের কেন্দ্র-বিরোধী অভিযানের সমর্থনে সরকারি সম্মান ফেরানোর পালা চলছে। গতকাল প্রকাশ সিং বাদল পদ্মবিভূষণ ফেরানোর পর আজ পঞ্জাবি সাহিত্যে সাহিত্য অকাদেমি সম্মান ফেরালেন বিখ্যাত কবি মোহানজিত।
সরকারি সম্মান ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন পঞ্জাবি লেখক জসবিন্দর সিংহ ও পঞ্জাবি নাট্যকার তথা সংবাদপত্র পঞ্জাব ট্রিবিউনের সম্পাদক সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজেতা স্বরাজবীর সিংহও।