জম্মু ও কাশ্মীরে ২টি এনকাউন্টারে খতম ৫ জঙ্গি, চলতি বছর সংখ্যা ছাড়াল ২০০, জানালেন ডিজিপি
শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি পৃথক এনকাউন্টারে বৃহস্পতিবার পাঁচ জঙ্গি খতম হল। চলতি বছর উপত্যকায় জঙ্গি-নিধনের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল বলে জানালেন রাজ্যের ডিজিপি।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরের বাডগাম ও বারামুল্লা জেলায় এদিন জঙ্গি-নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই বাঁধে। গোপন সূত্রে খবর আসে যে, বাডগামের পাখেরপোরা অঞ্চলের ফুতলিপোরায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে আছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।
উর্দিধারীদের দেখেই, এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুপক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। তাতে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া, ২ সাধারণ নাগরিকও আহত হন। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, অভিযান চলছে। অন্যদিকে, বারামুল্লার সোপোর অঞ্চলের বোমাইতে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। এখানেও সেনা অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, এদিনই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এস পি বৈদ জানান, চলতি বছর দুশোর ওপর জঙ্গিকে মেরেছে নিরাপত্তাবাহিনী। তিনি জানান, গত সাত বছরে এই প্রথম জঙ্গি-নিধনের সংখ্যা ২০০ ছাড়াল।
টুইটারে বৈদ লেখেন, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং কাশ্মীরবাসীর যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালে ২০০-র বেশি জঙ্গি নিধন সম্ভব হয়েছে। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর সহ গোটা দেশে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম।
https://twitter.com/spvaid/status/936151549255942144২০১০ সালের পর এবছরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জঙ্গিনিধন হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০ সালে ২৭০ জন জঙ্গি মারা গিয়েছিল। তবে, এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত সংখ্যা কমে ১০০-র আশেপাশে এসে ঠেকে। আবার ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৫।
অন্যদিকে, বেড়েছে জঙ্গি-সংক্রান্ত ঘটনায় সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুও। চলতি বছর ৫৪ জন মারা যান। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ১৪। তবে, কমেছে নিরাপত্তা-বাহিনীর মৃত্যুর সংখ্যা। গত বছর ৮৮ জন মারা গিয়েছিলেন। এবছর এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটি ৭৭।