প্লাস্টিকের নোট তৈরির মালমশলা জোগাড় হচ্ছে, সংসদে জানাল কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: কাগজের নোট অতীত, এবার প্লাস্টিকের নোট চালু করার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। শুরু হয়ে গিয়েছে তার প্রক্রিয়াও।
পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তের পরবর্তী অধ্যায় সরকার ও বিরোধীদের মুখে ‘প্লাস্টিক’ শব্দ বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। যার অর্থ যে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড—তা এখন সর্বজনবিদিত।
কিন্তু, এবার সত্যিকারের প্লাস্টিক নোট চালু করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার, সংসদে এমন কথাই জানানো হয় অর্থমন্ত্রকের তরফে। শুধু তাই নয়, এই নোট ছাপার মালমশলা জোগাড় করার কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিন লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্লাস্টিক ও পলিমার মিশ্রিত নোট ছাপানো হবে। এর জন্য যে বিশেষ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন, সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাজারে প্লাস্টিকের নোট চালু করার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার সংসদে জানিয়েছিল, ১০ টাকার প্লাস্টিক নোটের ১০০ কোটি পিস পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ শহরে চালু করা হবে। ওই পাঁচ শহরগুলি হল—কোচি, মহীশূর, জয়পুর, শিমলা এবং ভূবনেশ্বর।
এর নেপথ্য দুটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। এক এই শহরগুলির ভৌগলিক চরিত্র একে অপরের থেকে একেবারে ভিন্ন। দ্বিতীয়ত, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের দিকটিও মাথায় রাখা হয়েছিল। কাগজের নোটের তুলনায় প্লাস্টিকের নোট কতটা টেকসই হয়, পরীক্ষার মূল বিষয় ছিল সেটাই। যদিও, কেন্দ্রে পালাবদল হওয়ায় শেষমেশ তা কার্যকর হয়নি।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, বহু দেশে ইতিমধ্যেই কিন্তু, প্লাস্টিক পলিমারের তৈরি নোট চালু রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৪টি দেশে এই প্লাস্টিক নোট ব্যবহার করা হয়।
১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়া এধরনের নোট চালু করে। পরবর্তীকালে ব্রুনই, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, রোমানিয়া, ভিয়েতনাম, কেপ ভার্দে, চিলি, গাম্বিয়া, নিকারাগুয়া, ত্রিনিদাদ ও টোবোগো এবং মালদ্বীপ – প্লাস্টিক নোট ব্যবহার করে।