আসছে নতুন গ্রাহক সুরক্ষা আইন, জিএসটিতে লাভ হবে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের, বললেন মোদী

নয়াদিল্লি: গ্রাহকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে নতুন আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আরও দাবি, নতুন জিএসটি আইনের ফলে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। ফলে, সুদূর ভবিষ্যতে গ্রাহকরাই লাভবান হবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়িক পদ্ধতি ও দেশের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে নতুন গ্রাহক সুরক্ষা আইন কার্যকর করতে চলেছে কেন্দ্র। প্রস্তাবিত আইনে গ্রাহকদের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
মোদী বলেন, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির সংস্থান রাখা হয়েছে। এর জন্য একটি ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রীয় গ্রাহক সুরক্ষা নিগম গঠন করা হবে। যেখানে, দ্রুত সমস্যার নিষ্পত্তি করা হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের গ্রাহক সুরক্ষা আইনের স্থলাভিষিক্ত হবে এই নতুন আইন। সেখানে গ্রাহক সুরক্ষার ওপর ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশিকা ও শর্তাবলি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিন মোদী বলেন, গ্রাহক সুরক্ষার বিষয়টি সরকার অগ্রাধিকারের সঙ্গে দেখছে। কেন্দ্রের নিউ ইন্ডিয়ার সঙ্কল্পেও গ্রাহক সুরক্ষাকে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, শুধুমাত্র গ্রাহক সুরক্ষাই নয়, একেবারে সেরা গ্রাহক-সংক্রান্ত পদ্ধতি এবং গ্রাহক সমৃদ্ধি তুলে ধরবে নিউ ইন্ডিয়া।
প্রধানমন্ত্রী জানান, গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল অভিযোগের প্রতিকার প্রক্রিয়ার সফল রূপায়ন। তাই এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার নতুন প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করছে। তাঁর মতে, প্রত্যেক নাগরিক যাতে উন্নয়নের লাভ পেতে পারেন, তার জন্য সুশানের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।
মোদী স্মরণ করিয়ে দেন, গত তিন বছরে কেন্দ্র একাধিক প্রকল্পের সূচনা করছে। যেমন—নতুন রিয়েল এস্টেট আইন, উজ্জ্বলা প্রকল্প, ডিবিটি, প্রভৃতি। এর ফলে, শুধু গ্রাহকরাই যে ক্ষমতাবান হবেন তাই নয়, প্রচুর সঞ্চয়ও হবে।
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, জিএসটি-র ফলেও গ্রাহকরা উপকৃত হবেন। তিনি জানান, গ্রাহকরা যত জিএসটি সম্পর্কে অবগত হবেন, তত তাঁরা কম প্রতারণার শিকার হবেন।
পাশাপাশি, তিনি এ-ও জানান, জিএসটি-র ফলে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পণ্যের দাম কমছে। এতে আখেরে সবচেয়ে লাভবান হবেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষরা।
মোদী জানান, জিএসটি-র ফলে বিভিন্ন চোরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অস্তিত্ব আর নেই। পাশাপাশি, পণ্য সরবরাহের সময় অনেকটাই কমে যাওয়ায় খরচও কমেছে। সব মিলিয়ে পণ্যের দাম কমছে। লাভবান হচ্ছেন গ্রাহকরা।






















