এক্সপ্লোর
Advertisement
কতিপয় শিল্পপতিদেরই ব্যবসা করা সহজ হয়েছে, ছোট ব্যবসায়ীদের নয়, মোদীকে তোপ রাহুলের
নয়াদিল্লি: রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গুজরাত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের নিশানা করলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর দাবি, রাজ্যে ভোটের দিন শক লাগবে বিজেপির। এর পাশাপাশি ভরুচের জনসভা থেকে বিদ্যুত, সেচের জল ও কৃষকদের সমস্যা নিয়ে গুজরাতের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন রাহুল।
ভারুচে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসে উন্নয়নের গুজরাত মডেলেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই মডেল শিল্পপতিদের জন্য, গরিবদের জন্য নয়। তাঁর কটাক্ষ, গরিবের কাছ থেকে জমি, বিদ্যুত্ ও জল নিয়ে শিল্পপতিদের দাও-এটাই মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির গুজরাত মডেল। চিকিত্সার জন্য টাকা দাও। টাকা না থাকলে চিকিত্সাও মিলবে না। এটাই গুজরাত মডেল’।
বিশ্বব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠিতে এই প্রথম একশোর গণ্ডিতে পা রেখেছে ভারত। এই মাপকাঠিকে সরকারের সাফল্যের হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। এ ব্যাপারে রাহুল বলেছেন, হাতেগোনা কয়েকজনের পক্ষেই ব্যবসা করা সহজ হয়েছে, ছোট ব্যবসায়ীদের নয়। তিনি বলেছেন, ছোট ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে ব্যবসা কতটা সহজ হয়েছে। নোট বাতিল ও জিএসটি-তে সমস্যার মুখে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। রাহুল আরও বলেছেন, কালো টাকা তো সুইস ব্যাঙ্কে রয়েছে। গত তিন বছরে মোদী সরকার কতজন সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রাহুল।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি।
জাম্বুসরের জনসভায় ফের জিএসটি-কে ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ অ্যাখা দিয়েছেন রাহুল। নোট বাতিল ও জিএসটি নিয়ে এভাবেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন রাহুল।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ফের সরব হয়েছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, ভারতে প্রতিদিন ৪৫০ জনের রোজগার মেলে। যেখানে চিনে দিনে ৫০ হাজার তরুণকে কাজ দেওয়া হয়।
মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের ব্যর্থতার অভিযোগও তুলেছেন রাহুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনার ফোনটা উল্টে দেখুন—সেখানে কি মেক ইন ইন্ডিয়া লেখা রয়েছে? না, লেখা রয়েছে মেড ইন চায়না। ফোনের কোনও বোতামে যখনই হাত দেন, চিনের এক তরুণ তখন কাজ পান’।
৯ ডিসেম্বর গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রথম দফা। তার আগে আজ থেকে তিন দিনের সফরে গুজরাতে কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। সকাল ১১টায় ভারুচে সভা দিয়ে নবসৃজন যাত্রা শুরু করেন রাহুল। ভরুচ ছাড়াও মূলত দক্ষিণ গুজরাতের তাপি, বলসার, নবসারি ও সুরাতে একাধিক সভা ও সমাবেশ রয়েছে রাহুলের। কথা বলবেন কৃষক ও শিল্পপতিদের সঙ্গেও। নয়ের দশকে দক্ষিণ গুজরাতের একটা বড় অংশই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল, ধীরে ধীরে যা চলে যায় বিজেপির দখলে।এবার সেই গড়ই পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছেন কংগ্রেসের সহ-সভাপতি।
ভরুচ জেলাতেই শৈশব কেটেছিল রাহুলের দাদু ফিরোজ গাঁধীর। এখান থেকেই মুম্বইতে এসেছিলেন ফিরোজ। ভরুচ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলেরও জেলা।
সংরক্ষণ নিয়ে পতিদার নেতা হার্দিক পটেলের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কংগ্রেসের সমস্যা বাড়িয়েছিলেন। সোমবার তিনি সুর নরম করে হার্দিক জানিয়েছেন, আগামী ৩ নভেম্বর সুরাতে কংগ্রেসের জনসভাকে তিনি সমর্থন না করলেও বিরোধিতাও করবেন না।
কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময়সীমা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন হার্দিক।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
Advertisement