সরকারি চাকরি, শিক্ষায় পতিদার সংরক্ষণ চাই, কংগ্রেসকে শর্ত হার্দিকের
আমদাবাদ: আসন্ন গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে সমর্থন দেওয়ার বিনিময়ে কংগ্রেসের সামনে একগুচ্ছ শর্ত রাখলেন পটেল সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক পটেল।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, যে আসনে পটেল সম্প্রদায়ের বেশি উপস্থিতি রয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে সেই সব জায়গা. পতিদার প্রার্থীদের সর্বাধিক সংখ্যক টিকিটের দাবি করেছেন হার্দিক।
প্রসঙ্গত, গতকালই গুজরাতে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অশোক গহলৌতের সঙ্গে বৈঠক করেন ২৪ বছর বয়সী পতিদার আমানত আন্দোলনের প্রথমসারির নেতা। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, গুজরাতে কংগ্রেসের সংগঠনে পটেলদের প্রতিনিধিত্ব অত্যন্ত নগন্য। সেই সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করেছেন তিনি।
পাশাপাশি, পতিদারদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়েও সোচ্চার হন হার্দিক। তাঁর দাবি, সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পতিদারদের জন্য সংরক্ষণ রাখতে হবে। বৈঠকের পর গহলৌত জানান, আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। যদিও, তিনি বিস্তারিতভাবে কিছু বলতে চাননি।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র মণীশ দোশী জানান, বৈঠকে হার্দিককে আশ্বাস দেওয়া হয়, গুজরাতে দল ক্ষমতায় এলে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিদের জন্য নির্দিষ্ট ৪৯ শতাংশ সংরক্ষণের বাইরে পতিদারদের জন্য কতটা সংরক্ষণ করা যায়, তা সমীক্ষা করে দেখা হবে।
পাশাপাশি, তাঁকে এ-ও আশ্বাস দেওয়া হয়, ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে সংরক্ষণ আন্দোলনের সময় পতিদারদের ওপর চলা পুলিশি নির্যাতনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে, আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে যথাসম্ভব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও হার্দিককে আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস।
২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় এখনই লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হতে পারছেন না হার্দিক। তিনি জানান, গহলৌতের সঙ্গে বৈঠক করতে তিনি হোটেলে গিয়েছিলেন। সেখানে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তিনি দাবিদাওয়া পেশ করেছেন।