শুক্রবার সমুদ্রতল থেকে ৩৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘কে-৪’ পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করবে ভারত
বিশাখাপত্তনমের কাছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে সমুদ্রতলে অবস্থিত বিশেষ উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ভুবনেশ্বর: শুক্রবার পরমাণু-ক্ষমতাসম্পন্ন ৩,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘কে-৪’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে চলেছে ভারত। বিশাখাপত্তনমের কাছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে সমুদ্রতলে অবস্থিত বিশেষ উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অরিহন্ত শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিনের জন্যই বিশেষভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে শত্রুর যে কোনও লক্ষ্যকে ধ্বংস করা সম্ভব হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের নিউক্লিয়ার-ট্রায়াড বা পরমাণু-ত্রয়ীর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে। এর ফলে, স্থল-আকাশ-জল এই তিন জায়গা থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হবে ভারত। শুক্রবারের পরীক্ষায় এই ক্ষেপণাস্ত্রের অত্যাধুনিক সিস্টেম পরীক্ষা করা হবে। সমুদ্রের তলা (বা বলা ভাল সাবমেরিন থেকে) উৎক্ষেপণযোগ্য দুটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ভারত। একটি ৩,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘কে-৪’। অন্যটি ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘বিও-৫’ ক্ষেপণাস্ত্র। প্রসঙ্গত, গতমাসেই এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। এর পাশাপাশি, নিকট ভবিষ্যতে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ‘অগ্নি-৩’ ক্ষেপণাস্ত্র ও ‘ব্রহ্মোস’ ক্রুজ মিসাইলের কিছু পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণও করা হবে।