Mamata Banerjee: বিদ্যুতের দাম কমবে ? কী জানালেন মমতা
ABP Ananda Live: বিধানসভায় বেনজির সংঘাত, বাইরে ধর্নায় শুভেন্দু, ভিতরে আক্রমণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' এই প্রোজেক্ট হয়ে গেলে ১০০ বছর আর কোনও বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না। আর শুনতে হবে না, শোডশেডিংয়ের সরকার। আর নেই দরকার। এবং বিদ্যুৎ এর দাম কমে যাবে। মনোপলি কমে যাবে।'
মঙ্গলবার বিধানসভায় বক্তৃতা করেন মমতা। সেখানেই শুভেন্দুর আক্রমণের জবাব দেন। মমতা বলেন, "বক্তৃতা করার অর্থ কাউকে আঘাত করা, ঘৃণা ভাষণ দেওয়া, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, অশান্তিতে ইন্ধন জোগানো নয়। বিধানসভায় অনেক জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, যাঁরা কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম, কেউ খ্রিস্টান, কেউ শিখ, কেউ আদিবাসী, কেউ তফসিলি, কেউ রাজবংশী। মানুষ সকলকে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন। এমন কী হল যে একাট ধর্মকে বিক্রি করে খাচ্ছেন আপনারা?" (West Bengal Assembly) মমতা জানিয়েছেন, তিনি কখনও ধর্ম, জাত, সম্প্রদায়, গোষ্ঠী নিয়ে কথা বলেন না। কিন্তু আজ বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে তিনিও ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। কিন্তু কাউকে ঘৃণা করতে শেখেননি। নিজের বাবার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, "আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। ৪০-৪২ বছর বয়সে মারা যান। আমরা তখন ছোট। কিন্তু তার মধ্যেই সকলকে ভালবাসার শিক্ষা পেয়েছিলাম। আমাকে ৫০টা গালাগালি দিন, গায়ে লাগবে না। কিন্তু ভাগাভাগির চেষ্টা বরদাস্ত করব না আমি। আমি আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে রাজনীতি করি না।" শুভেন্দুর আক্রমণের জবাবে মমতা আরও বলেন, "আমি না কি হিন্দুধর্মকে তাচ্ছিল্য করি, মুসলিম লিগ করি? এ জীবনে আমাকে এসবও শুনতে হবে! জম্মু ও কাশ্মীর, বাংলাদেশের সঙ্গিদের সঙ্গে না কি সম্পর্ক আমার। প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব। পদত্যাগ করব। আমাকে জঙ্গিনেতা বলেছেন। আপনি বিরোধী দলনেতা হিসেবে একথা বলতে পারেন কি না, চিঠি লিখব প্রধানমন্ত্রীকে। এখনও আমরা আছি বলে বাংলা শান্ত আছে। এটা সর্বধর্মের মানুষের দান। আপনারা (বিজেপি) তো সীমান্তে গিয়েছিলেন উস্কানি দিতে? ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাটা দেশের মধ্যে পড়ে।"



















