ডোকালামে দীর্ঘ সংঘাতের জন্য প্রস্তুত সেনা: ভারত
নয়াদিল্লি: চিনের বাগাড়ম্বরকে তোয়াক্কা না করে ভারতীয় সেনা ফের একবার জানিয়ে দিল, ডোকালাম থেকে তারা সরছে না।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বিতর্কিত এলাকায় ভারতীয় সেনা তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে। ইঙ্গিত, চিনা পিএলএ জওয়ানরা সেখান থেকে না পিছোলে, ভারতও একচুল নড়বে না।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ডোকালামে মোতায়েন জওয়ানদের খাবার সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রতিনিয়ত পাঠানো হচ্ছে। ওই জোগানে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
এক সেনা আধিকারিক জানান, চিনের কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করবে না ভারত। তবে, একইসঙ্গে তিনি এ-ও জানান, এই সমস্যার সমাধান কূটনৈতিক স্তরেই সম্ভবত মিলবে।
এদিকে, চিন কোনও আপসে যেতে রাজি নয় বলে জানা গিয়েছে। তাদের দাবি, বল ভারতের কোর্টে। ফলে, সমস্যা সমাধান করতে বা সংঘাতের আবহাওয়াকে নিষ্ক্রিয় করতে ভারতকেই উদ্যোগী হতে হবে। অর্থাৎ, ডোকালাম থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
কিন্তু, ভারতও জানিয়ে দিয়েছে চিনা সেনা যতক্ষণ ওই এলাকায় থাকবে, ততক্ষণ তারাও সরবে না। বহুস্তরীয় কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে ২০১২ সালে চুক্তি করে দুই দেশ।
কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই চুক্তি দিয়ে কোনও সমাধান-সূত্র বের হয়নি। উভয় দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় ডোকালামে এখনও একটা সংঘাতের পরিস্থিতি বজায় রয়েছে।
ভারত, চিন ও ভুটান সীমান্তের সংযোগস্থল লাগোয়া ছোট্ট একফালি এলাকা ডোকালামের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ডোকালামকে নিজেদের ডংল্যাং অঞ্চলের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে বেজিং।
চিনের অভিযোগ, সেখানে সড়ক নির্মাণ করতে গেলে ভারত বাধা দেয়। ভারতের আপত্তিকে মান্যতা দিয়ে চিনকে অবিলম্বে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলে ভূটানও। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় বেজিং। ভারতের দাবি, চিনা জওয়ানরা ২টি অস্থায়ী ভারতীয় সেনা ছাউনি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
পাল্টা চিন দাবি করে, ভারতীয় সেনা ডোকালামে আগ্রাসন ঘটিয়েছে। যদিও, ভারত জানিয়ে দিয়েছে, ডোকালাম ভুটানের। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, ভুটানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দেওয়ার কথা ভারতের।