কর্নাটক: অর্থ কার? জোর দড়ি টানাটানি কংগ্রেস ও জেডিএস-এর
নয়াদিল্লি ও বেঙ্গালুরু: দফতর বণ্টনকে ঘিরে কর্নাটকের জোট সরকারের দুই সঙ্গী জেডিএস ও কংগ্রেসের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।
সোমবার নয়াদিল্লিতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কুমারস্বামী। তিন-ঘণ্টার বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস ও জেডিএস নেতারা। সেখানে দফতর-বণ্টন নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।
কুমারস্বামী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছোট ভাই এইচ ডি রেভান্না, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর, প্রবীণ কং নেতা অহমেদ পটেল এবং কর্নাটকে এআইসিসি ভারপ্রাপ্ত কে সি বেণুগোপাল।
সূত্রের খবর, বৈঠকে কুমারস্বামী কংগ্রেসকে জানান, কর্নাটকের রীতি হল, অর্থ দফতর ছোট শরিককে দেওয়া হয়। কিন্তু, জানা গিয়েছে, কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, অর্থ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর তাদের চাই।
শুধু অর্থ নয়, আরও তিন গুরুত্বপূর্ণ দফতর-- বিদ্যুৎ, জলসম্পদ এবং পূর্ত—আলোচনায় উঠে আসে। এই তিন দফতরও নিজেদের কাছে রাখতে চায় বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই তথা জেডিএস নেতা রেভান্না বিদ্যুৎ ও জলসম্পদ দফতর নিজের কাছে রাখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎ দফতরের রাখতে চাইছেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমারও। তাঁর যুক্তি, পূর্বতন সিদ্দারামাইয়া আমলে তিনি এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। তাই, এই দফতর তিনিই রাখবেন। ফলে, এই নিয়ে দুই শরিকের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।
ঘনিষ্ঠ মহলে এই নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে জেডিএস। দলের এক সূত্র জানিয়েছেন, কংগ্রেস সব গুরুত্বপূর্ণ দফতর নিজেদের হাতে রেখে জেডিএস-কে পশুপালন, শ্রম, মৎস্য, যুব-পরিষেবা, মহিলা ও শিশু কল্যাণের মতো দফতর দিতে চায়।
বৈঠকের পর কুমারস্বামী জানান, বৈঠকে কী হল, সেই নিয়ে কংগ্রেস নেতারা মঙ্গলবার রাহুল গাঁধীর সঙ্গে কথা বলবেন, যিনি বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। তারপরই, দফতর-রফা চূড়ান্ত হবে।