এক্সপ্লোর
Advertisement
দেখুন: 'দৈবাদেশ' পেয়ে 'সবক শেখাতে' সিংহের ডেরায় ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি, হুলুস্থুলু ইন্দোরের চিড়িয়াখানায়
ইন্দোর: 'স্বপ্নাদেশ' পেয়ে সোজা সিংহের খাঁচায়। ৩৮ বছরের এক ব্যক্তির এ ধরনের পাগলামিতে হুলুস্থুলু কাণ্ড মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কমলা নেহরু প্রাণী সংগ্রহালয়ে। ইন্দোরের বাসিন্দা কৈলাশ ভার্মার এই অদ্ভূত খেয়াল চিড়িয়াখানার কর্মীদের তীব্র উত্কণ্ঠার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। শেষপর্যন্ত খারাপ কিছু হয়নি। নিরাপদেই বের করে আনা হয় তাঁকে। নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীঘরে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ চিড়িয়াখানায় পৌঁছন ভার্মা। পকেটে ছিল একটা বিস্কুটের প্যাকেট। দর্শকদের দাঁড়ানোর জায়গা ও পশুদের থাকার জায়গার মাঝের রেলিংটা টপকে বাফার জোনে চলে যান তিনি। কিছুটা দূরেই চার শাবক সহ বিশ্রাম নিচ্ছিল দুই সিংহী মেঘা ও বিজলী। তাদের কাছে পৌঁছতে ভার্মা একটি ফেন্সে চড়ে বসেন।
এত দূর নামা ওঠায় খিদেও পেয়ে গিয়েছিল ভার্মার। ফেন্সে বসে প্রথমে বিস্কুট খান তিনি। ততক্ষণে রক্ষীরা দুই সিংহী ও শাবকদের খাঁচার ভেতরে ঢুকিয়ে দেন। ভার্মাকেও সেখান থেকে বের করে সান্যোগীতাগঞ্জ ছানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে জেরা করে পুলিশ ও চিড়িয়াখানার আধিকারিকরা।
সিসিটিভি-তে দেখা গিয়েছে, রক্ষীরা ভার্মাকে বেরিয়ে আসার জন্য বারংবার অনুরোধ করছেন। কিন্তু সেসবে কর্ণপাত না করে তিনি সিংহীর ডেরার সবচেয়ে উঁচু জায়গায় উঠে পড়েন।
জেরায় ভার্মার অদ্ভূত দাবি, 'টেলিভিশনে গ্রামবাসীদের ওপর সিংহকে হামলা চালাতে দেখেছিলেন তিনি। এরপর এই হামলার বদলা নেওয়ার জন্য স্বপ্নাদেশ পান তিনি। সেই দৈবাদেশ পেয়েই সিংহ মারতে চলে এসেছিলেন চিড়িয়াখানায়'। চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক উত্তম যাদব এ কথা জানিয়েছেন।
বন্যপ্রাণী রক্ষা আইন অনুযায়ী ভার্মার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঘটনার খবর ভার্মার বাড়িতে দেওয়া হয়। থানায় আসেন তাঁর মা ও ভাই। তাঁরা ভার্মাকে বাড়ি নিয়ে যান।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement