এক্সপ্লোর
Advertisement
ডেটিং সাইটের মাধ্যমে অন্য এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছেন মেজর হান্ডা, বলছে পুলিশ
নয়াদিল্লি: সেনাবাহিনীর মেজর অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজা হত্যায় অভিযুক্ত মেজর নিখিল হান্ডা একটি ডেটিং সাইটের মাধ্যমে অন্য এক মহিলার সঙ্গেও বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন। এমনই জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ফেসবুকে মেজর হান্ডার একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ছিল। এছাড়া ডেটিং সাইটে ভুয়ো প্রোফাইলের মাধ্যমেও তিনি মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন। বছর দুয়েক আগে তিনি পটেল নগরের এক বিবাহবিচ্ছিন্ন মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। ওই মহিলা জানতেন, মেজর হান্ডা বিবাহিত। কখনও দেখা না হলেও, শৈলজাকেও চিনতেন ওই মহিলা। খুনের পর তাঁকেই প্রথম ফোন করেন হান্ডা। ওই মহিলাকে জেরা করছে পুলিশ।
দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলা বলেছেন, শৈলজাকে খুনের পর তাঁকে ফোন করে রাগ দেখাচ্ছিলেন হান্ডা। আজ মেরঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছেন। তিনি শৈলজাকে খুনের পর এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনার রূপ দিতে মৃতদেহের মুখের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন। খুন করার পর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে চিত্তরঞ্জন পার্ক থেকে অক্ষরধাম পর্যন্ত যান হান্ডা। তিনি ভাইকে বলেন, তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার করার পর মেজর হান্ডাকে দিল্লি ও মেরঠের কয়েকটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, শৈলজার গলা কাটার জন্য যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিলেন, সেটি এক জায়গায় ফেলে দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। হান্ডা আরও দাবি করেছেন, তিনি গাড়ি থেকে রক্ত মোছার পর একটি তোয়ালে পুড়িয়ে দেন। কিন্তু সেটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement