এক্সপ্লোর
Advertisement
সারাদিন দাঁড়িয়ে গোদাবরীর পাড়ে, বর্জ্য ফেলতে এলেই বাঁশি বাজিয়ে আটকাচ্ছেন নাসিকের চন্দ্রকিশোর পাতিল
গোটা পৃথিবীর হুঁশ না ফিরলেও সচেতনতা প্রচারে পিছপা হন না পরিবেশপ্রেমীরা। ফের একবার তারই প্রমাণ দিলেন ইন্দিরা নগরের চন্দ্রকিশোর পাতিল।
নয়াদিল্লি: বেশ কয়েক দশক ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দূষণ। সারা বছর তো বটেই, কিন্তু উৎসবের সময় কয়েকগুণ বেড়ে যায় এই দূষণের পরিমাণ। প্লাস্টিক পচনশীল না হওয়ার কারণে সেটাই হয়ে উঠেছে অন্যতম দূষণের কারণ। জলভাগ থেকে স্থলভাগ, প্লাস্টিক জাতীয় বস্তু বিষিয়ে দিচ্ছে পরিবেশ। গোটা পৃথিবীর হুঁশ না ফিরলেও সচেতনতা প্রচারে পিছপা হন না পরিবেশপ্রেমীরা। ফের একবার তারই প্রমাণ দিলেন ইন্দিরা নগরের চন্দ্রকিশোর পাতিল।
প্লাস্টিক দূষণের ফলে কমে আসছে নদীর নাব্যতা। যার ফলে হচ্ছে বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দেশের সব নদী না হোক, অন্তত একটা নদী বাঁচুক। বোধহয় এই ভাবনা নিয়েই উৎসবের মরসুমে গোদাবরী নদীর পাড়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। নাসিকের চন্দ্রকিশোর পাতিল। তবে এই প্রথম নয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, শেষ পাঁচ বছর ধরে এই কাজ করে চলেছেন। উৎসবের মরশুমে সাধারণত নদী প্রবল দূষণের মুখে পড়ে। আর সেই দূষণের মুখ থেকে গোদাবরীকে রক্ষা করার চেষ্টা করে চলেন পাতিল। পাঁচ বছর আগে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আজও সেই সিদ্ধান্তে অটুট আছেন। পাতিল আরও জানান, বেলা ১১টা থেকে তিনি নদীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। সঙ্গে থাকে একটি বাঁশি। তিনি বাঁশি বাজিয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন, যাতে তাঁরা নদীতে ময়লা না ফেলেন। খারাপ ব্যবহার পেলেও দায়িত্ব থেকে সরে যাননি পাতিল।
শ্বেতা বদ্ধু নামে এক আইএফএস অফিসারই প্রথম আলোকপাত করেন বিষয়টির ওপর। চন্দ্রকিশোরের ছবি ও কাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। বিবরণ দেন, 'আমি নাসিকে একটি লোককে দেখলাম। উনি গোদাবরী নদীর পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে দশেরার বর্জ্য পদার্থ নদীতে ফেলা থেকে আটকাচ্ছেন। প্রিয় মিস্টার পাতিল, আপনাকে শ্রদ্ধা।'
৩১ অক্টোবরের এই পোস্টটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
বিনোদনের
হুগলি
Advertisement