এক্সপ্লোর
Advertisement
সুনন্দা হত্যা মামলা: তারুরের সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল? পুলিশের জেরা মেহেরকে
নয়াদিল্লি: সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলার সবথেকে বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করল দিল্লি পুলিশ। পাক কলামিস্ট মেহের তারারকে ডেকে পাঠিয়ে ঘণ্টাতিনেক জেরা করল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, ২-৩ মাস আগে এ জন্য দিল্লি আসেন মেহের। মধ্য দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে তাঁকে জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসা করা হয়, সুনন্দার স্বামী, কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের সঙ্গে তাঁর কোনও অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা। যদিও মেহের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
১৭ জানুয়ারি, ২০১৪-য় দিল্লির এক হোটেল থেকে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থারুরের স্ত্রী সুনন্দার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর মাত্র ১দিন আগে তাঁর স্বামীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ করে মেহেরের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে কলহ করেন তিনি। সুনন্দা-ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক নলিনী সিংহও অভিযোগ করেন, থারুর ও তারারের মধ্যে বিনিময় হওয়া কয়েকটি বিবিএম মেসেজ উদ্ধারের জন্য তাঁর সাহায্য চান সুনন্দা। ২০১৪-র লোকসভা ভোট মিটে গেলে থারুর তারারকে বিয়ে করবেন বলেও তিনি নলিনীকে জানান।
নলিনী আরও জানিয়েছেন, মেহের তারার শশী থারুরকে মেসেজ করে বলেন, তিনি তাঁকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। সুনন্দা তাঁকে বলেছিলেন, থারুরের পরিজনও তাঁকে এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। আইপিএল নিয়ে শশী থারুরের বেআইনি কাজকর্মের পর্দাফাঁস করবেন বলেও টুইটারে প্রকাশ্যে হুমকি দেন সুনন্দা। তারপরেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
মেহের অবশ্য পুলিশের কাছে বারবার দাবি করেছেন, শশী থারুরের সঙ্গে তাঁর কোনও গোপন সম্পর্ক ছিল না। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা অত্যন্ত জরুরি ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ, কারণ, ভারতীয় পুলিশকে বয়ান দেওয়ার ব্যাপারে মেহেরের কোনও আইনি দায় ছিল না। পাক হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। কিন্তু তার আগে মেহের নিজেই টুইট করেন, সুনন্দা হত্যা মামলায় তিনি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে তৈরি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement