বিয়েতে অমত, রাজি করাতে কিশোরীকে অপহরণ করে গর্তে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৮
আমদাবাদ: তিন সপ্তাহের বেশি সময় ১৫ বছরের মেয়েকে ফার্ম হাউসে ৮ বাই ৮ সাইজের গর্তে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় ১৯ বছরের ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন। নভেম্বরে অপহৃত মেয়েটি এ মাসের শুরুতে ছাড়া পেয়েছে। গুজরাতের মোরবি জেলার কোটদা নায়ানি গ্রামের ঘটনা।
ওয়াকাঁকের তালুক থানার এক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ১৯ বছরের নরেশ সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও অন্যায় ভাবে আটকে রাখার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। তার পরিবারের সাত সদস্যকেও অপহরণ, জোর করে আটকে রাখার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৮ জনই গ্রেফতার হয়েছে মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে।
পুলিশের বক্তব্য, অভিযুক্তের পরিবারের ইচ্ছা, যেহেতু মেয়েটি ও তাদের পরিবার একই দেবিপুজাকা সম্প্রদায়ের, তাই তার সঙ্গে তাদের নরেশের বিয়ে হোক। কিন্তু মেয়েটির বিয়েতে মত ছিল না। তাই তাকে অপহরণের প্ল্যান করে তারা। ১১ নভেম্বর মেয়েটিকে অপহরণ করে গ্রাম থেকে ২ কিমি দূরে খামারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে গর্তে আটকে রাখা হয়। কেউ যাতে তাকে খুঁজে না পায়, সেজন্য কাঠের দরজা দিয়ে চাপা দেওয়া হয় গর্তের মুখ। শুধু ধর্ষণ করার সময় তাকে বাইরে বের করা হত। মেয়েটির বাবা ২৫ নভেম্বর নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ব্যাপক তল্লাসির পর ৪ ডিসেম্বর তার খোঁজ মেলে।